X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১
সাক্ষাৎকারে দেশের প্রথম নারী ব্যারিস্টার

‘পারবো না–কথাটি নারীদের থেকে শুনতে চাই না’

বাহাউদ্দিন ইমরান
০৮ মার্চ ২০২৩, ২৩:২৬আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৩, ১৪:১৮

বাংলাদেশের প্রথম নারী ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া। ১৯৪৪ সালের ১ মার্চ ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা ইংল্যান্ডের লিডস (এলইইডিএস) বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন এবং বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন। ইংল্যান্ডে অধ্যয়নকালীন রাবিয়া ভূঁইয়া ১৯৭১ সালে লিংকনস ইন স্টুডেন্টস ইউনিয়নের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

২০০৭ সালে আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন এবং ২০১৮ সালে তিনি নারী অধিকার ও শিক্ষার মাধ্যমে ক্ষমতায়ন বিষয়ের ওপর অবদানের জন্য লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে ‘অনারারি ডক্টর অব ল’স’ অর্জন করেন। নারী অধিকারের ওপর তার উল্লেখযোগ্য মামলার মধ্যে রয়েছে-জমিলা খাতুন বনাব রুস্তম আলী, তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী ও তার সন্তানের জন্য ভরণপোষণ, হেফজুর রহমান বনাম শামছুন নাহার (৫১ ডিএলআর, এডি ১৯৯৯) তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর ভবিষ্যৎ ভরণপোষণ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা।

এছাড়াও তিনি দুঃস্থ নারী ও শিশুদের অধিকার ও আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য ইনস্টিটিউট অব ডেমোক্রেটিক রাইট (আইডিআর) নামে ১৯৮১ সালে একটি লিগ্যাল এইড প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। জুনিয়র আইনজীবীদের ট্রেনিংয়ের জন্য তিনি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহায়তায় একটি প্রোগ্রাম চালু করেছিলেন যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ওপর ন্যস্ত হয়। মহিলা আইনজীবীদের জন্য ১৯৮২ সালে তিনি প্রথম বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি গঠন করেন। একাত্তরের অন্যতম নারী সংগঠক হিসেবে পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব।

ছবি : সাজ্জাদ হোসেন

মন্ত্রী থাকাকালীন রাবিয়া ভূঁইয়া নারীদের জন্য মুসলিম ফ্যামিলি কোর্ট অর্ডিনেন্স ১৯৮৫ প্রণয়নে সহায়তা করেন। এ আইনের মাধ্যমে তালাকপ্রাপ্তসহ অন্য মেয়েরাও নামমাত্র ১২০ টাকা দিয়ে মামলার সুযোগ পাচ্ছেন। পতিতা মেয়েদের চিকিৎসা ও পূণর্বাসনের জন্য সর্বপ্রথম সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র স্থাপন করেন তিনি। নির্যাতিত মেয়েদের আইনি সহায়তার জন্য সর্বপ্রথম মহিলা বিষয়ক অধিদফতরে মেয়েদের জন্য ‘কমপ্লেইন সেন্টার’ স্থাপন করেন তিনি। তারই উদ্যোগে যৌতুক নিরোধ আইনের উল্লেখযোগ্য সংশোধন এবং বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের সংশোধন হয়ে বিয়ের বয়স ১৬ থেকে ১৮ করা হয়। দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য থাকাকালীন পার্লামেন্টে ১/৩ ভাগ সংরক্ষিত আসনে নারীদের মধ্যে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত করার জন্য সংবিধান সংশোধনের বিল আনয়ন করেন রাবিয়া ভূঁইয়া। তিনি ৪টি প্রধান আদিবাসী নারীদের আইনগত অধিকারের ওপর গবেষণা করেন এবং বিশ্ব নারী সম্মেলনে বেইজিংয়ে রিপোর্ট পাঠান। মাদার তেরেসার সঙ্গেও ছিন্নমুল শিশুদের নিয়ে কাজ করেছেন এই নারী। নারী অধিকার ও সহিংসতার ওপর করেছেন গবেষণা, লিখেছেন বই।

ইচ্ছা থাকলেও আর্থিক কারণে মেয়েরা বিদেশে যেতে পারে না, তাই রাবিয়া ভূইঁয়া শিক্ষাজীবন শেষে দেশে ফিরে স্বামীকে নিয়ে ‘ভূঁইয়া অ্যাকাডিম’ নামে আইনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। যার ফলে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা অল্প খরচে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধীনে দূর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইন ডিগ্রি লাভ করতে পারছেন। ভূঁইয়া অ্যাকাডেমি থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী আইন শিক্ষা লাভ করে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজে নিয়োজিত আছেন। পাশাপাশি রাবিয়া ভূঁইয়া বিভিন্ন নারী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থেকে সামজিক কাজে অবদান রেখে চলেছেন।

রাবিয়া ভূঁইয়া তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ব্যারিস্টার রাবিয়া ভূঁইয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। যেখানে গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে শিক্ষাদান করা হয়। এছাড়াও তিনি দারুসসুন্নাত হামিদীয়া আলিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন। সম্প্রতি গরিব, অসহায় ও দুঃস্থদের সহায়তার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন রাবিয়া ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট।

২০০৮ সালে রাবিয়ার স্বামী ব্যারিস্টার এ কে এম মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া মারা যান। বর্তমানে এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তিনি কর্মব্যস্ত দিন পার করছেন। মেয়ে শাহানারা ভূঁইয়া ব্যারিস্টারি পাস করে তারই সঙ্গেই আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষ্যে এই খ্যাতিসম্পন্ন ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়ার সাক্ষাৎকার বাংলা ট্রিবিউনের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

বাংলা ট্রিবিউন: শৈশবের দিনগুলো কেমন ছিলো?

ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া: সুন্দর শৈশব ছিলো। শৈশবকাল থেকে আমার বাবা-মা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবীদের কথা মনে পড়ে। আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছেন আমার পিতা। তিনি শিক্ষক ছিলেন। কাজের শেষে বাসায় ফিরে আমাকে পড়িয়েছেন। পিতার মন-মানসিকতা ও আদর্শে আমরা ভাই-বোনেরা বেড়ে উঠেছি।

বাংলা ট্রিবিউন: একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে আপনার অবদান সম্পর্কে জানতে চাই। 

ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া: একাত্তরে আমি লন্ডনে ছিলাম স্বামী ও মেয়ের সঙ্গে। সে সময় বাংলাদেশে মাত্রই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। তখন সেখানে বাংলাদেশি যেসব শিক্ষার্থী পড়তাম কিংবা বিভিন্ন সার্ভিসে যুক্ত ছিলো, তাদের প্রায় সকলেই মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখতে শুরু করলেন। যারা সে সময় বাইরে ছিলাম, তারা তখন মনে করতাম- দেশে যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চলছে সেখান থেকে আমাদের মুক্ত করতে হবে। আমার পরিবারসহ সবাইকে বাঁচাতে হবে। তাই আমার পড়াশোনায় মন ছিলো না। আমাদের সবার সামনে তখন মিটিং-মিছিল করে দেশে অংশগ্রহণ করা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করার বিষয়টি বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অনেক সংগঠনের মাধ্যমে অর্থসহ অন্যান্য সহযোগিতা দেশে পাঠানোর চেষ্টা করেছি। ইংল্যান্ডের উচ্চপর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ লোকদের আমরা দেশের সম্পর্কে অনেক প্রতিবেদন দিয়েছি। অ্যাম্বাসিতে গিয়েছি, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার জন্য।

বাংলা ট্রিবিউন: মন্ত্রী-এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ডক্টরেট ও ব্যারিস্টারি করে প্র্যাকটিসেও আলো ছড়িয়েছেন। 

ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া: চেষ্টা থাকলে সবই সম্ভব। আমি চেষ্টা করে চলেছি। 

বাংলা ট্রিবিউন: দেশের প্রথম নারী ব্যারিস্টার আপনি। পড়তে গিয়ে কখনও বাধার সম্মুখীন হয়েছেন?

ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া: আমাকে ব্যারিস্টারি তথা আইন পড়ার জন্য আমার পিতা সবসময় সাহস দিয়েছেন। তিনি বলতেন, এটি একটি স্বাধীন পেশা এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করার মতো পেশা। বাধা বলতে যেটি ছিল সেটি হলো, যখন লন্ডনে পড়তে গেলাম তখন অনেকে বললো ‘মেয়েরা ব্যারিস্টারি পড়ে কী করবে, কোন মেয়ে তো এই পেশায় আসে না?’ তখনকার সময়ে আমাদের সমাজে আইনে পড়ে এসে আইনজীবী পেশায় নিযুক্ত হওয়ার মতো কেউ ছিল না। অনেকেই বলতেন, মেয়েরা আইনজীবী হলে তাদের কাছে কেউ যাবে না। জেলা বারে প্র্যাকটিসের সময় অনেকেই মামলা দিতে চাননি। হেরে যাওয়া, শক্ত মামলাগুলো আমার কাছে আসতো। জামিন, ট্রায়ালের মামলাও পেয়েছি। অনেকে ফি দেননি। এরপরও তাদের মামলা করে পক্ষে রায় এনে দিয়েছি। জজকোর্টে সূর্যসেন হত্যা মামলায় (সাত খুন হত্যা) শুনানিতে অংশ নিয়েছি। বিচারক থেকে আইনজীবী সবার সহযোগিতা পেয়েছি। একা মনে হয়নি। এরপর যখন সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করতে এসেছি তখন অনেক নারীকে উৎসাহী হয়ে আসতে দেখে ভালো লেগেছে। সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকটি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় পেয়েছি।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

বাংলা ট্রিবিউন: আপনার ব্যক্তিজীবনে কে বেশি উৎসাহ জুগিয়েছেন?

ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া: বিয়ের আগে বাবা এবং বিয়ের পর আমার স্বামী সব রকমের সহযোগিতা করে উৎসাহ জুগিয়েছেন। আমি ও আমার স্বামী একসঙ্গে প্র্যাকটিসে এসেছি। আমার শাশুড়ি ও মা বাচ্চাদের সামলেছেন। সবাই বেশ সহযোগিতা করেছেন। নিজের ও শ্বশুর বাড়ির সবার সহযোগিতা পেয়েছি।

বাংলা ট্রিবিউন: এখনো কিছু করার বিষয়ে আপনার আগ্রহ কাজ করে?

ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া: টেকনোক্রেট হিসেবে মন্ত্রী হয়েছিলাম। পরবর্তীতে রাজনীতিতে আসি। এরপর ২০০০ সালে রাজনীতি থেকেও অবসর নেই। কেননা, প্র্যাকটিসের প্রতি আমার সবসময়ই আগ্রহ ছিলো। কতটুকু করতে পেরেছি তা জানি না। তবে আমার এখন স্বপ্ন মেয়েদের উন্নয়নে কিছু করে যাওয়ার। গ্রামে একটি স্কুল দিয়েছি। আমাদের জেলার মধ্যে স্কুলটি বেশ নাম করেছে। ছেলে-মেয়েরা পড়ছে। গত বছরের পরীক্ষায় সকলেই পাস করেছে। তাদের অধিকাংশই মেয়ে শিক্ষার্থী। বেশি এ+ পেয়েছে। এছাড়াও আমাদের ভূইয়া অ্যাকাডেমির মাধ্যমে আমরা স্কুডেন্টদের পড়াচ্ছি। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের কোর্স করিয়ে থাকি। এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ছেলে-মেয়ে এই অ্যাকাডেমি থেকে পাস করেছে। যার মধ্যে অর্ধেকের মতো মেয়ে। তাই শিক্ষার বিস্তারের মাধ্যমে মেয়েদের মাঝে আলো ছড়ানোর ইচ্ছা থেকেই কাজ করছি।

বাংলা ট্রিবিউন: বর্তমানের নারী আইনজীবীরা তাদের পেশায় কতটা আলো ছড়াতে পারছেন?

ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া: আইন পেশায় নারীরা অবশ্যই আলো ছড়াচ্ছেন। আমার খুবই ভালো লাগে যখন কোর্টে দেখি মেয়েরা এগিয়ে এসেছেন এবং ভালো করছেন। আমাদের নারী বিচারক-বিচারপতি রয়েছেন। তারা সকলেই সম্মানের সঙ্গে খ্যাতিমান হিসেবে কাজ করে চলেছেন। তাদের সফলতা দেখে আমার মনটা ভরে যায়।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

বাংলা ট্রিবিউন: নারী আইনজীবীদের আরও দক্ষ হওয়ার পেছনে কোনও প্রতিবন্ধকতা দেখছেন কিনা?

ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া: প্রতিবন্ধকতা আছেই। সর্বক্ষেত্রে মানুষ ওপরে উঠতে চাইলেও….। আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি বদলায়নি। অনেকেই মেয়েদের ঘরে দেখতে পছন্দ করেন। আমার মনে হয়, মেয়েদের অনেক কাজ করার মতো যোগ্যতা রয়েছে। মেয়েরা পারে না, আমি এটা বিশ্বাস করি না। তবে ঘরে ছোট বাচ্চা থাকলে মেয়েরা অন্যদের হাতে ছাড়তে চান না। তবুও সব সামলে তাদের প্রাকটিস করতে হয়। এজন্য নিজের প্রবল ইচ্ছা থাকতে হবে। স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই পরস্পর এজন্য সহযোগিতা করতে হবে। এছাড়াও যারা সিনিয়র রয়েছেন তাদেরকে জুনিয়রের প্রতি সহযোগিতাপরায়ণ হতে হবে। 

বাংলা ট্রিবিউন: সুপ্রিম কোর্টে নারী আইনজীবীদের উঠে আসার পেছনে কোন বাধা দেখতে পান?

ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া: মেয়েরা বেশি আসার পেছনে কিছু ব্যক্তিগত কারণ রয়েছে। আবার অনেক সময় ক্লায়েন্টরা পুরুষ আইনজীবীদের বেশি পছন্দ করছেন, ভরসা পাচ্ছেন। তাই আমি বলবো, মেয়েদের আরও দক্ষ হতে হবে। সেক্ষেত্রে ক্লায়েন্টদের বুঝাতে হবে তার পেশার দক্ষতা কতখানি। এই দক্ষতা পেশার প্রতিটি জায়গায় থাকতে হবে। ঘটনার বিস্তারিত জেনে, মামলা প্রস্তুত করে পড়াশোনা করে তবেই মামলাটি ডিল করতে হবে। 

বাংলা ট্রিবিউন: প্রজন্মের নারী আইনজীবীদের কোন পর্যায়ে দেখতে চান?

ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া: আমি তাদেরকে দক্ষ দেখতে চাই। প্রযুক্তির সঙ্গেও তাদেরকে খাপখাওয়ানোর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

বাংলা ট্রিবিউন: আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আপনার কোনও চাওয়া বা আহ্বান রয়েছে কিনা?

ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া: একটাই কথা বলবো, নারীদেকে আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হবে। ‘আমি পারবো না’ এই কথাটি নারীদের থেকে শুনতে চাই না। তারা যেন মনে করেন আমিও পারবো। প্রযুক্তি এবং আইন সব বিষয়ে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই লক্ষ্য অর্জন করতে কোন বাধা থাকবে না। আমার মনে হয়, আমাদের নারীদের প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতন হওয়া জরুরি। প্রযুক্তির যেন অপব্যবহার না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। অনেকেই পেশার প্রতি নজর না দিয়ে টিকটকসহ নানান কিছুতে বেশি জোর দেন। এতে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, কারো কারো সংসারও ভেঙে যাচ্ছে। সেসব থেকে আমাদেরকে সরে আসতে হবে। অনেক দেশের সরকারের মতো আমাদের দেশেও এ ধরণ্যের অ্যাপস বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ। আমি চাইবো, আমার দেশসহ সব দেশের নারীরা তাদের দক্ষতার মাধ্যমে আরও এগিয়ে যাবে।

/আরআইজে/
সম্পর্কিত
সুঁই-সুতোয় ‘স্বপ্ন বুনছেন’ ভোলার আমেনা খানম
পাচার হওয়া বোনকে নিতে এসে কলকাতায় অসহায় দশায় চট্টগ্রামের তরুণ
ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য খালাস করে গেলেন যে নারী ট্রাকচালক
সর্বশেষ খবর
ভারতকে নিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া সূচি করেছে পাকিস্তান
ভারতকে নিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খসড়া সূচি করেছে পাকিস্তান
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী
টিপু-প্রীতি হত্যা: আ.লীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিচার শুরু
টিপু-প্রীতি হত্যা: আ.লীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিচার শুরু
ঘনঘন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন সমাধান
ঘনঘন শ্যাম্পু ব্যবহারে চুল রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? জেনে নিন সমাধান
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড