বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও আসন্ন কাউন্সিলের প্রকাশনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, আগামী ১৯ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জাতিকে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হতে ডাক দেবেন। তার লিখিত বক্তব্যটি একটি ভিশনারি বক্তব্য হবে। ইতিবাচক বক্তব্য হবে। এই বক্তব্যটি ছাপার কাজ শেষ পর্যায়ে। পাশাপাশি ঐক্যবদ্ধ হতে দেশবাসীর সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকেও আহ্বান জানাবেন তিনি। জাতীয় স্বার্থেই জাতিকে এক হতে ডাক দেবেন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার বিএনপির সম্মেলনস্থল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে বসে বাংলা ট্রিবিউনকে এ কথা বলেন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি একাধিকবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলা ট্রিবিউন: কাউন্সিলের প্রস্তুতি সম্পর্কে বলুন।
আবদুল্লাহ আল নোমান: প্রস্তুতি ৯৫ শতাংশ শেষ। আমার প্রকাশনার কাজ প্রায় শেষ। শুক্রবারের মধ্যে সব প্রকাশনা চলে আসবে। অন্য কমিটিগুলোও কাজ শেষ করে এনেছে। এছাড়া শেষ মূহুর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুমতি পেয়েছি। এটি আরও আগে হলে প্রস্তুতি নেওয়া যেত। তবে কাউন্সিলরদের বসানোর জন্য এখন সেখানে স্থান দেওয়া যাবে।
বাংলা ট্রিবিউন: কয়টি প্রকাশনা থাকবে কাউন্সিলে?
আবদুল্লাহ আল নোমান: ছোটবড় মিলিয়ে অন্তত ১২টি। এর মধ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্ম, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবন ও কর্ম, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জীবন ও কর্ম, বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস, রাষ্ট্র পরিচালনায় বিএনপির অবদান, বিএনপির আদর্শ-রাজনীতি ও নেতৃত্ব নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের মূল্যায়ন নিয়ে এসব বই প্রকাশ করা হবে। বিগত ৮ বছরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেয়া ভাষণের সংকলন, বর্তমান সরকারের আমলে বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের গুম-খুন-নির্যাতন এবং সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন ও তাদের সম্পদ লুণ্ঠন নিয়ে কয়েকটি প্রকাশনা থাকবে। রাজনীতি গবেষক ও বিশ্লেষকদের সুবিধার্থে খালেদা জিয়ার ভাষণের সংকলনটি করা হবে। এ ছাড়া প্রকাশনার অন্যতম আকর্ষণ থাকবে বিএনপির ইতিবাচক রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের নেতিবাচক রাজনীতি এবং মহাজোট সরকারের নানা অপকর্ম, দুর্নীতির নিয়ে অঙ্কিত একটি কার্টুনের সংকলন।
বাংলা ট্রিবিউন: কাউন্সিলে কি পুরো নির্বাহী কমিটি বা স্থায়ী কমিটি গঠন হবে?
আবদুল্লাহ আল নোমান: ইতোমধ্যে আমাদের দলের চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। এখন কাউন্সিলরা চেয়ারপারসনকে ক্ষমতা দিলে এবং সেই ক্ষমতা তিনি গ্রহণ করলে হবে। আবার যদি সেটি না হয়, সরাসরি ভোট হবে। মহাসচিব হিসেবে নির্বাচন হবে। তবে পুরো বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। কাউন্সিলের বাইরে কিছু করা যাবে না। এটা তাদের অনুমোদন সাপেক্ষেই হতে হবে।