X
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
২৪ বৈশাখ ১৪৩২
আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলা

ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, সাতজনের যাবজ্জীবন

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৫ জুন ২০১৬, ১৩:৩১আপডেট : ১৫ জুন ২০১৬, ১৫:১৪

আহসানউল্লাহ মাস্টার গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা সাংসদ আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় আপিলের রায়ে বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ এবং সাতজনের যাবজ্জীবন বহাল রেখেছেন আদালত। এছাড়াও আসামিদের ১১ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। দুজন মারা যাওয়ায় তাদের ব্যাপারে কোনও আদেশ আসেনি এবং একজন আপিলই করেননি।


বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
বুধবারের (১৫ জুন) রায়ে আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাতজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। তারা হলেন- মো. আলী, সৈয়দ আহমেদ হোসেন মজনু, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু, রতন মিয়া ওরফে বড় মিয়া রতন, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর (১), আবু সালাম ওরফে সালাম ও মশিউর রহমান ওরফে মনু। এ ছাড়া মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর, ফয়সাল, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির, খোকন, লোকমান ও দুলাল মিয়া।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলার ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ), আপিল ও ফৌজদারি বিবিধ আবেদনের উপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। এ মামলায় বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণা হয় ২০০৫ সালে। এরপর মামলাটি জেল আপিল ও নিয়মিত আপিলের জন্য হাইকোর্টে চলে আসে।
মামলাটির বিচার সম্পন্ন করা হয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ২২ আসামি হলেন নুরুল ইসলাম সরকার, মোহাম্মদ আলী, মাহবুবুর রহমান মাহবুব, আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, সোহাগ ওরফে সরু এবং পলাতক আসামীরা হলেন শহীদুল ইসলাম শিপু, হাফিজ ওরফে কানা হাফিজ, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু, ফয়সাল, লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, আল আমিন, রতন মিয়া ওরফে বড় মিয়া, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির, জাহাঙ্গীর, রতন ওরফে ছোট রতন, আবু সালাম ওরফে সালাম, মশিউর রহমান ওরফে মনু, খোকন, দুলাল মিয়া, নুরুল ইসলাম দিপু, সৈয়দ আহমেদ হোসেন মজনু।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ৬ আসামি হলেন- রাকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর, নুরুল আমিন, মনির ও অহিদুল ইসলাম টিপু (পলাতক)। এ মামলায় খালাস পান কবির হোসেন ও আবু হায়দার।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ২ জন ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা হলেন- ছোট রতন ও আল আমিন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওমর ফারুক রতন নামে আরেকজন তার সঙ্গে খুন হন। ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল এই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। খালাস পায় ২ আসামি।

এপিএইচ/

আরও পড়ুন: 

২০ কোম্পানির ওষুধ তৈরি বন্ধে হাইকোর্টের রায় আপিলে বহাল
সতর্ক করে জেলারসহ তিনজনকে অব্যাহতি

 

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সংঘাতের জেরে আইপিএলের ভাগ্যে কী ঘটবে?
সংঘাতের জেরে আইপিএলের ভাগ্যে কী ঘটবে?
উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়াতে ইইউ’র সহযোগিতা চায় ইউজিসি
উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়াতে ইইউ’র সহযোগিতা চায় ইউজিসি
রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেলো বৃদ্ধের
রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেলো বৃদ্ধের
ফেরত পাঠানো হলো ৩৪ সেনা-বিজিপিসহ মিয়ানমারের ৪০ নাগরিককে
ফেরত পাঠানো হলো ৩৪ সেনা-বিজিপিসহ মিয়ানমারের ৪০ নাগরিককে
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আসছে নতুন আইন
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আসছে নতুন আইন
ফিরে গেছে কুয়েত ও তার্কিশ এয়ারের ঢাকাগামী ২ ফ্লাইট
পাকিস্তানে ভারতের হামলাফিরে গেছে কুয়েত ও তার্কিশ এয়ারের ঢাকাগামী ২ ফ্লাইট
সার্বভৌমত্ব রক্ষার ডাক আসিফ-হাসনাতের
সার্বভৌমত্ব রক্ষার ডাক আসিফ-হাসনাতের
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর খবরদারি না করার আহ্বান ইউজিসির
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর খবরদারি না করার আহ্বান ইউজিসির
মূলধন ঘাটতির রেকর্ড, সংকটে ব্যাংক খাত
মূলধন ঘাটতির রেকর্ড, সংকটে ব্যাংক খাত