কারাবন্দি তিন আসামির জামিননামা দাখিলের পরও তাদের কারামুক্তি না দেওয়ায় দুই জেলার ও সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবীকে সতর্ক করে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি ফরিদ আহম্মদ ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে জেলারসহ দুইজনকে সতর্ক করে আদেশ দেন।
এরা হলেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির, গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা ও অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড সুফিয়া খাতুন।
কারাবন্দি তিন আসামির জামিননামা দাখিলের পরও তাদের কারামুক্তি না দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার এই তিনজনকে তলব করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশের পর তারা গত ১৩ জুন আদালতে এসে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের ব্যাখা দেন।
আদালত এর আগে শুনানির সময় বলেছিলেন, ‘প্রতিদিনই অনেক আসামির কারামুক্তি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ আসছে। জামিননামা পাওয়ার পরও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। আপনারা হাইকোর্টের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আপনাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।’
অর্থপাচারের অভিযোগ এনে গত ২ জানুয়ারি রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই মামলায় গত ৮ মে পাঁচ আসামিকে জামিন দেন হাইকোর্ট। গত ১৬ মে জামিননামা কারাগারে যাওয়ার পর দুই আসামিকে মুক্তি দিলেও অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সুফিয়া খাতুন আপিলের কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তিন আসামি- গিয়াস উদ্দিন, আমিনুর রহমান ও ওসমান গনিকে মুক্তি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ।
/ইউআই /এপিএইচ/
আরও পড়ুন: