ময়মনসিংহ থেকে রোগীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার কথা বলে, পথিমধ্যে জোর করে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও তার সহকারীকে পিটিয়েছেন রোগীর স্বজনরা। চালক রনি (৩৫) ও তার সহকারী বিল্লাল (২৫)কে আটক করেছে শাহবাগ থানার পুলিশ। শনিবার রাত দেড়টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবি সিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শেরপুর জেলার নকলার বাসিন্দা ও ঘটনার শিকার রোগী ফরিদুল ইসলামের (৪০) ভাই রফিক জানান, তার ভাই ফরিদ স্থানীয় একটি মারামারির গুরুতর আহত হন। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শনিবার সন্ধ্যার পর আহত ফরিদকে নিয়ে তিনি ময়মনসিংহ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। ঢাকার উত্তরায় আসার পর অ্যাম্বুলেন্সের ত্রুটির কথা বলে তাদেরকে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন ময়মনসিংহ থেকে আসা অ্যাম্বুলেন্সের চালক।
রফিক জানান, দ্বিতীয় অ্যাম্বুলেন্সটি ঢামেকে না গিয়ে তাদের উত্তরার একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়।ওই ক্লিনিকে না ঢুকে তারা অ্যাম্বুলেন্সের চালকের কাছে এর প্রতিবাদ করেন। এসময়ে রফিক ফোনে বুয়েটে পড়ুয়া তার এক আত্মীয়কে বিষয়টি জানান। বুয়েটের ছাত্র তখন চালকের সঙ্গে কথা বলেন এবং রোগীকে ঢামেকে নিয়ে যেতে বলেন। এরপর বুয়েটের ওই ছাত্র বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তার কয়েকজন বন্ধুকে জানায়। তারা একত্রিত হয়ে ঢামেকে গিয়ে অপেক্ষায় থাকেন।
রাত দেড়টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি ফরিদ ও রফিককে নিয়ে ঢামেক হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগের সামনে এসে পৌঁছায়। রোগীকে নামিয়ে দেওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সের চালক রনি ও তার সহকারী বিল্লালকে বেদম মারধর করে রোগী ফরিদের আত্মীয় বুয়েট ছাত্র ও তার বন্ধুরা।খবর পেয়ে শাহবাগ থানার পুলিশ এসে চালক রনি ও বিল্লালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
শাহবাগ থানার ওসি এবি সিদ্দিক বলেন, ‘তাদের আটক করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে মামলা নেওয়া হবে।
এআইবি/ এপিএইচ/
আরও পড়ুন: হাতকড়া হাতে হাসপাতালে অসাড় দ্বিজেন টুডু, ছররা গুলিতে বিদ্ধ চোখ