X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

মুফতি হান্নানের ফাঁসি, এখন বাকি প্রাণভিক্ষা

উদিসা ইসলাম
১৯ মার্চ ২০১৭, ১৯:০১আপডেট : ১৯ মার্চ ২০১৭, ১৯:০৮

 

মুফতি হান্নান (ছবি: ফোকাস বাংলা) সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলার রিভিউয়ের রায়েও মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট। এখন বাকি থাকলো কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়া। এক্ষেত্রে মুফতি হান্নান যদি প্রাণভিক্ষা না চান, তাহলে তার ফাঁসি যেকোনও সময় কার্যকর হতে পারে  বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, ‘কারাবিধি অনুসারে ৭ দিনের আগে কিংবা ২১দিনের পরে নয়, এই নিয়ম মেনে প্রাণভিক্ষা চাওয়া না চাওয়ার বিষয়টি সুরাহা করে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হবে।’

আইনি বিধান মতে, আপিলের রিভিউ খারিজ হয়ে যাওয়ায় এখন মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকরে একটি মাত্র ধাপ বাকি। রিভিউয়ের আদেশের কপির একটি আদেশ যাবে কারাগারে। সেখানে যাওয়ার পর শুরু হবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা  চাওয়ার প্রক্রিয়া। হান্নান ছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য দুজন হলেন শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার ওরফে রিপন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রায়ের অনুলিপি কারাগারে পৌঁছানোর পর কারা কর্তৃপক্ষ আসামীদের তা পড়ে শোনাবেন এবং প্রাণভিক্ষা চাইবেন কিনা, তা জানতে চাইবেন। এ সময় চিকিৎসকরা নিয়মিত তার শারীরিক পরীক্ষা চালাবেন এবং ফাঁসি কার্যকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রাণভিক্ষা জেলকোডের নিয়ম অনুযায়ী ৭ দিনের আগে নয়, ২১দিনের পরে নয়। এর মধ্যে যেকোনও সময় বিষয়টি কিভাবে সম্পাদিত হবে, তা কারাকর্তৃপক্ষ ও রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেবেন।  আসামিরা এই সময়ের মধ্যে প্রাণভিক্ষার সুযোগ পাবে। প্রাণভিক্ষা চাওয়া-না চাওয়ার বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

রবিবার সকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এর পরপরই তার ২১ দিনের বেঁধে দেওয়ার সময় শুরু হয়েছে বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

এর আগে ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ তিন জনের ফাঁসি ও দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীম মো. আফজাল এ মামলার তিন আসামি মুফতি আবদুল হান্নান, হুজির সদস্য শরীফ শাহেদুল আলম (বিপুল) ও দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। অন্য দুই আসামি মুফতি হান্নানের ভাই মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি ও মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

মুফতি হান্নান নিষিদ্ধ জঙ্গিসংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় নেতা। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রামে। সিলেটের শান্তিবাগে বসবাসকারী মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আরেক আসামি শরীফ শাহেদুল আলমের বাড়ি চাঁদপুরের মাইশাদি গ্রামে। দেলোয়ার মদনমোহন কলেজে লেখাপড়া করতেন, থাকতেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমায়। তার বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কোনাগাঁওয়ে। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামের আবু জান্দাল থাকতেন ঢাকার ওয়ারীতে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে নবনিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করতে যান। সেখানে জুমার নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় প্রধান ফটকের কাছে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এই হামলায় তিনজন নিহত হন। এ সময় আহত হন আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক আবুল হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল হাই খানসহ ৭০ জন।

 আরও পড়ুন: মুফতি হান্নানের ফাঁসি বহাল

/ইউআই/এমএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগপিএসজিকে হারিয়ে ফাইনালে ডর্টমুন্ড
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
রাজস্থানকে হারিয়ে প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
ঢাকা আসছেন মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট