বনানীতে ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর পোশাক রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য অনুমতি দিয়েছেন আদালত। মহানগর মুখ্য হাকিম মো. দেলোয়ার হোসেন আজ (বৃহস্পতিবার) এ আদেশ দিয়েছেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান।
তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের সত্যতা যাচাইয়ে ওই তরুণীর পরিধেয় বস্ত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়। এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানোর নির্দেশ দেন ।’
এর আগে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আয়শা সিদ্দিকা মিলি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আলামত হিসেবে তাদের কাছে ধর্ষণের শিকার একজন তরুণীর পরিহিত একটি সালোয়ার আছে। ওই পোশাকের ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতির জন্য আজ-কালের মধ্যে আদালতের কাছে আবেদন করা হবে। আদালতের অনুমতি পাওয়া গেলে পোশাকে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য সিআইডি, অথবা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে।’
গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা করার পরপরই সেই পোশাক বনানী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধর্ষণের একমাস পর তরুণীর শরীরে আলামত নাও পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু পোশাক থেকে সহজেই সেই আলামত পাওয়া যাবে। যদি পোশাকে ধর্ষকের বীর্য কিংবা কোনও কোষ বা চুলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় , তবে সহজেই তা ধরা পড়বে ফরেনসিক পরীক্ষায়।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওই দুই শিক্ষার্থীকে জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। এরপর তাদের বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলো- সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
/এসআইটি/ইউআই/ এপিএইচ/
আরও পড়ুন:
আদালতে সাড়ে তিন ঘণ্টা জবানবন্দি দিলেন ধর্ষণের শিকার দুই তরুণী