বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনাস্থল রেইনট্রি হোটেলে বেআইনি কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক দলের নেতৃত্বে থাকা গুলশান জোনের পরিদর্শক ওবায়দুল কবীর। শনিবার (১৩ মে) সকালে বনানীর ওই হোটেলে অভিযান চালান ওবায়দুল কবীরের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের একটি দল।
শনিবার বেলা ১১টার কিছুক্ষণ পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ওই দলটি অভিযানে যায় হোটেল রেইনট্রিতে। এরপর ঘণ্টাখানেক তারা সেখানে অবস্থান করেন।
অভিযান শেষে হোটেল থেকে বেরিয়ে ওবায়দুল কবীর বলেন, ‘অভিযানে আমরা হোটেলের সবকিছু তল্লাশি করেছি। তবে হোটেল থেকে বেআইনি কিছু পাইনি।’
অভিযান চালানোর কারণ জানতে চাইলে ওবায়দুল কবীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেবল এই হোটেল নয়, ঢাকা শহরের সব হোটেলেই নজরদারি বেড়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পাশাপাশি শনিবার সকালে রেইনট্রি হোটেল পরিদর্শন করে মানবাধিকার কমিশনের একটি দলও। পরিদর্শন শেষে মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে তাদের। ১৫ দিনের মধ্যে তারা এই ঘটনার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন দুই তরুণী। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওই দুই তরুণীকে জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। এরপর তাদের বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। এ ঘটনা সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয় বলেও উল্লেখ করা হয় এজাহারে। ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলো- সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
আরও পড়ুন-
অস্ত্র জমা দিয়ে হোটেলে ঢুকেছিল সাফাতরা, দাবি রেইনট্রি কর্তৃপক্ষের
/জেএ/টিআর/