বাড়ি থেকে মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে রাজউক। খবর পেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ছুটে যান গুলশানের ১৫৯ নম্বর বাড়িতে। বেলা তখন আড়াইটা। কিন্তু বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে পুলিশ ও রাজউক কর্মকর্তাদের বাধার মুখে পড়েন তিনি। বাড়িতে ঢুকতে না পেরে কয়েক মিনিট এদিক-ওদিক করে ফুটপাতে রাখা বেতের সোফায় বসে পড়েন মওদুদ। অনেকটা মলিন ও হতাশ চেহারায় ওই চেয়ারে বসেই সাংবাদিক,পুলিশ ও রাজউক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর বিকাল সোয়া চারটায় পুলিশের সঙ্গে শেষবারের মতো বাড়িতে ঢোকেন মওদুদ। কয়েক মিনিট পর আবার বেরিয়ে আসেন।
হতাশ ও ক্ষুব্ধ কণ্ঠে মওদুদ আহমদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘দেশে বিচার বলে কিছু নাই। দেশে আইন আছে নাকি? এখন আর কী করবো। আমার মতো নাগরিকের আর কী করার আছে। এখন রাতে ফুটপাতে ঘুমাবো।’
এদিকে রাজউক অঞ্চল-৫ এর পরিচালক ওয়ালিউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গুলশানের ১৫৯ নম্বর বাড়িটি রাজউকের। রাজউক এটার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। আপাতত বাড়িটি তালাবদ্ধ করে রাখা হবে ।পুলিশের একটি টিম সার্বক্ষণিক বাড়িটির পাহারায় থাকবে। এ বাড়ির মালামাল পাশের ৫১ নম্বর সড়কের কনকর্ড প্যানারোমা নামের ছয় তলা ভবনের পঞ্চম তলায় মওদুদ আহমদের আরেকটি ফ্ল্যাটে মালামাল পৌঁছে দেওয়া হয়।’
উল্লেখ্য, আদালতের রায়ের পর বুধবার (৭ জুন) দুপুর ২ টায় ওই বাড়িটিতে অভিযান শুরু করে রাজউক। মওদুদ আহমদের আপত্তি সত্ত্বেও তার বাড়ির মালপত্র সেখান থেকে বের করে আনা হয়।পরে রাজউক ওই বাড়িতে তালা লাগিয়ে দেয়।
/জেইউ/ এপিএইচ/
আরও পড়ুন-
রাজউক দখল নেওয়ার পর মওদুদের বাড়ির সামনে খালেদা জিয়া
দেশে আইন নাই, বিচার নাই: ব্যারিস্টার মওদুদ
মওদুদের মালামাল গেলো গুলশানের ফ্ল্যাটে