জমজ সন্তানের একটি বের করার পর আরেকটিকে ভেতরে রেখেই নারীর পেট সেলাই করে দেওয়া সেই চিকিৎসকসহ তিনজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের বেঞ্চ স্বতপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
যে তিন জনকে তলব করা হয়েছে তারা হলেন- কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরীপুর লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার শেখ হোসনে আরা বেগম, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। আগামী ৭ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে তাদের ঘটনা ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।
একটি জাতীয় পত্রিকার এ সংক্রান্ত খবর আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। পরে আদালত স্বতপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আউয়াল হোসেনের স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে (২২) গত ১৮ সেপ্টেম্বর দাউদকান্দির গৌরীপুর লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপারেশন করা হয়। সেখানে খাদিজার পেটে একটি সন্তান রেখেই অপারেশন শেষ করার অভিযোগ ওঠে ডা. শেখ হোসনে আরার বিরুদ্ধে।
খাদিজার গর্ভে দুইটি সন্তান থাকলেও ডাক্তার শেখ হোসনে আরা অপারেশন করে একটি সন্তান বের করে অপরটি টিউমার বলে অপারেশন সমাপ্ত করেন। পরবর্তীতে খাদিজা বাড়িতে যাওয়ার পর দীর্ঘ এক মাস তার পেটে ব্যথা ছিল। এ নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে যান। পেটের ব্যথা বাড়তে থাকলে খাদিজা আক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫ অক্টোবর বুধবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। দ্বিতীয় অপারেশনের পর খাদিজার গর্ভের সন্তানটি মারা যায়।