X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

স্কুলে গিয়েও সেবা দেন আজিমপুর হেলথ ক্লিনিকের চিকিৎসকরা

তাসকিনা ইয়াসমিন
০৩ জানুয়ারি ২০১৮, ০৭:৪৭আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০১৮, ০৭:৪৭

আজিমপুর স্কুল হেলথ ক্লিনিক। এলাকার স্কুল ও ছোটমনি নিবাসেও দেখা মেলে সরকারি এই চিকিৎসাকেন্দ্রটির চিকিৎসকদের। নিজেদের এমন সেবা সম্পর্কে আজিমপুর হেলথ ক্লিনিকের ইনচার্জ ডা. রায়হানা সাওগাত বলেন, ‘ক্লিনিকের কাজ কেবল এই চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি না রেখে আমরা এর বাইরেও যাই। ছোটমনি নিবাসে গিয়ে আমরা তাদের চুল-নখ কাটা, দাঁত পরিস্কার করাসহ প্রাত্যহিক কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে করার পরামর্শ দেই। আশেপাশের বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বয়োঃসন্ধি নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাই। এছাড়াও কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষার্থীরা ফিল্ড ভিজিটের অংশ হিসেবে ক্লিনিকে আসেন। আমরা তাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করি।’

আজিমপুর স্কুল হেলথ ক্লিনিক আজিমপুর গার্লস স্কুলে ১৯৬২ সালে ক্লিনিকটি চালু হয়। আর সব সরকারি ডিসপেনসারির মতোই সপ্তাহের শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এটি খোলা থাকে। এখানে মূলত অ্যান্টিবায়োটিক, জ্বর,ব্যথা,কাশি, চুলকানি, অ্যালার্জি, কৃমি ও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, খাওয়ার স্যালাইন, শিশুদের সিরাপ, আয়রন ও ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট দেওয়া হয়।
গত সোমবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ক্লিনিকটিতে অবস্থান করে দেখা যায়, একের পর এক রোগী আসছেন। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে যাচ্ছেন তারা।
বহির্বিভাগ চিকিৎসাকেন্দ্রটিতে রয়েছেন দুজন এমবিবিএস চিকিৎসক, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন এলএমএসএস। ক্লিনিকের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মেডিক্যাল অফিসার ডা. রায়হানা সাওগাত। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখানে সকাল থেকেই রোগী আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভিড়ও বাড়ে।’ দেড় ঘণ্টায় ১৩ জন রোগীকে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে যেতে দেখা গেল।
ডা. রায়হানা বলেন, ‘আজিমপুর গার্লস স্কুল ছাড়াও হাজী গনি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়েস্টার্ন হাইস্কুল ও সরকারি এতিমখানা ছোটমনি নিবাসে আমরা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভিজিটে যাই।’
ক্লিনিকের ফার্মাসিস্ট রথীন্দ্র নাথ মণ্ডল বলেন, ‘গত বছর এই কেন্দ্র থেকে সাত হাজার ৩৮২ জন রোগী চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ নিয়েছেন।’ তিনি জানান, প্রতি মাসে স্কুলগুলোতে একবার করে যান ক্লিনিকের একজন চিকিৎসক যান। তিনি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ দেন।
চিকিৎসা নিতে আসাদের একাংশ ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাতে আসা মোখলেস (৪৫) বলেন, আমার শরীর চুলকায়। এছাড়া, আজ সকাল থেকে ৫/৬ বার ডায়রিয়া হয়েছে, তাই ওষুধ নিতে এসেছি।’ এখানে কেন আসেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এখান থেকে নিয়মিত ওষুধ নিই। এখান থেকে ওষুধ নিয়ে উপকার পাই তাই আসি।’
রেবার চোখ দিয়ে খালি পানি পড়ে, তাই তিনি এসেছেন ডাক্তারের কাছে। কলেজছাত্রী নওশিন সর্দি-হাঁচির অসুবিধার জন্য ওষুধ নিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সবার ভরসাস্থলে পরিণত হওয়া ক্লিনিক ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। দেয়ালে ফাটল। চুনকাম ঝরে পড়ছে দেয়াল থেকে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. এহ্সানুল করিম বলেন, ‘জাইকার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার প্রজেক্টের আওতায় ঢাকায় যতগুলো সরকারি ডিসপেনসারি আছে সবগুলোতে নতুন ভবন হবে। বিশেষ করে যেন নতুন ভবন করা যায় সে ব্যাপারে আমরা জোর দিচ্ছি।’

/ইউআই/এএম/আপ এমও/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কানে ঝুলছে বাংলাদেশের দুল!
কান উৎসব ২০২৪কানে ঝুলছে বাংলাদেশের দুল!
ধোনি-জাদেজার লড়াই ছাপিয়ে প্লে অফে বেঙ্গালুরু
ধোনি-জাদেজার লড়াই ছাপিয়ে প্লে অফে বেঙ্গালুরু
হীরকজয়ন্তীর পর সংগঠনে মনোযোগ দেবে আ.লীগ
হীরকজয়ন্তীর পর সংগঠনে মনোযোগ দেবে আ.লীগ
নীরবে মামুনুল হক,  শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
নীরবে মামুনুল হক, শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভালো সড়ক কেটে ২ বছর ধরে খাল বানিয়ে রেখেছে
নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভালো সড়ক কেটে ২ বছর ধরে খাল বানিয়ে রেখেছে