রাজধানীর মহাখালী ও তেজগাঁও এলাকা থেকে গত বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১২ শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়েছে বলে দাবি করেছে তাদের পরিবার। একইসঙ্গে এসব শিক্ষার্থীর মুক্তির জোরালো দাবি জানানো হয়েছে।
রবিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ক্রাইম রিপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ক্র্যাব) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আটক শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তারা বলেন, অভিযান চালিয়ে তিন দিন আগে শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।
পরিবারের সদস্যদের দাবি অনুযায়ী, আটককৃতরা হলেন আল আমিন, জহিরুল ইসলাম হাসিব, মুজাহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল্লাহ বিন মনসুর, গাজী এম বোরহান উদ্দিন, তারেক আজিজ, মাহফুজ, রায়হানুল আবেদীন, ইফতেখার আলম, তারেক আজিজ ও মেহেদী হাসান রাজীব।
এসব শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর এই শিক্ষার্থীদের আদালতে তোলার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের বেআইনিভাবে আটকে রেখেছে পুলিশ।
সাইফুল্লাহ বিন মনসুর নামের এক শিক্ষার্থীর বাবা মনসুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গত ৫ সেপ্টেম্বর মহাখালী ও তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি এই ১২ জনকেও ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরমধ্যে সিফাত নামের এক শিক্ষার্থীসহ আরও কয়েকজনকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও মুক্তি মেলেনি ১২ জনের।’
ছাড়া পাওয়া সিফাতের বরাতে সাইফুল্লাহর বাবা মনসুর রহমান জানান, ‘শিক্ষার্থীদের ডিবি কার্যালয়ে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটকের কথা অস্বীকার করায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।’
এই ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলো।