খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ঢাকার মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে এ আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
মামলার শুনানিতে তিনি বলেন,‘আমরা কারাগার থেকে ওকালতনামায় খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর নিয়ে এসেছি। তিনি কোনও অপরাধ করেন নি। রাজনৈতিকভাবে তাকে হয়রানি করতে এ মামলা করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে অন্য মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। আমরা আশা করছি, ওইসব মামলায় তিনি জামিন পেয়ে দ্রুত কারামুক্ত হবেন।’
অন্যদিকে,বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মামলার নথি পর্যালোচনা করে আদেশের জন্য রাখেন। শুনানির সময় মামলার বাদী এ বি সিদ্দিকী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি কারাগারে থাকা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়— ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি)-এর মিলনায়তনে শুভ বিজয়া অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোনও ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে।’ মামলায় বলা হয়, ‘খালেদা জিয়ার এসব বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, তেমনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণিগত বিভেদও সৃষ্টি করেছে।’
ওই ঘটনায় ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এরপর গত ৩০ জুন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস।