X
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

লাইফ সাপোর্টে ঝর্ণা ধারা চৌধুরী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৬ জুন ২০১৯, ২২:০০আপডেট : ২৬ জুন ২০১৯, ২২:০৮

ঝর্ণা ধারা চৌধুরী (ছবি– সংগৃহীত)

ভারতের পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত বাংলাদেশের গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সচিব ঝর্ণা ধারা চৌধুরীকে (৮০) রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতলে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে গত ২ জুন তাকে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক কাদের চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঝর্ণা ধারা চৌধুরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তার অবস্থা খুব একটা ভালো না, তবু আমরা চেষ্টা করছি।’

গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের পরিচালক রাহা নব কুমার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় গত ২ জুন তাকে (ঝর্ণা ধারা চৌধুরী) স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ৩ জুন তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখানে তার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহে একবার স্ট্রোক করেন তিনি। এরপর তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আজ (বুধবার) সকালে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।’

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের কালুপুর গ্রামে ১৯৩৮ সালের ১৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন ঝর্ণা ধারা চৌধুরী। তার বাবার নাম গান্ধীয়ান প্রথম চৌধুরী ও মায়ের নাম আশালতা চৌধুরী। ১১ ভাইবোনের মধ্যে তিনি দশম।

বাবার মৃত্যুর পর ১৯৫৬ সালে গান্ধীর প্রতিষ্ঠিত অম্বিকা কালিগঙ্গা চ্যারিটেবল ট্রাস্টে (গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট) যোগ দেন ঝর্ণা ধারা চৌধুরী। ১৯৬০ সালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সংসারত্যাগীদের সংগঠন চট্টগ্রামের প্রবর্তক সংঘে যোগদানের মাধ্যমে সরাসরি মানবসেবায় নিয়োজিত হন। এর পাশাপাশি তিনি তার পড়ালেখাও চালিয়ে নিতে থাকেন। চট্টগ্রামের খাস্তগীর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আগরতলায় ত্রাণ কাজে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৭৯ সালে পুনরায় গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টে ফিরে আসেন। ১৯৯০ সালের ১৩ জুন চারু চৌধুরীর মৃত্যুর পর তিনি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সচিবের দায়িত্ব পান।

স্বীকৃতি

সমাজকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক ‘বাজাজ পুরস্কার’ লাভ করেন। ২০০২ সালে নারী উদ্যোক্তার স্বীকৃতি হিসেবে ‘অনন্যা’ পুরস্কার, ২০০৩ সালে নারীপক্ষ দুর্বার নেটওয়ার্ক, নিউইয়র্কের ওল্ড ওয়েস্টবেরি ইউনিভার্সিটির শান্তি পুরস্কার, শান্তি, সম্প্রীতি ও অহিংসা প্রসারে ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শান্তি পুরস্কার’ লাভ করেন তিনি।

এ ছাড়া, ২০০৮ সালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন থেকে ‘সাদা মনের মানুষ’ হিসেবে তিনি সম্মাননা লাভ করেন। ২০১৩ সালে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী ও ২০১৫ সালে সমাজসেবায় একুশে পদক লাভ করেন তিনি।

 

/এসজেএ/এমএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিলেন দুই মেয়ে
মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিলেন দুই মেয়ে
‘মেগাস্টার’ বিতর্ক: আত্মপক্ষ সমর্থনে জাহিদ হাসান
‘মেগাস্টার’ বিতর্ক: আত্মপক্ষ সমর্থনে জাহিদ হাসান
চানখারপুলে হত্যা: ৮ আসামির বিষয়ে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১৪ জুলাই
চানখারপুলে হত্যা: ৮ আসামির বিষয়ে অভিযোগ গঠনের আদেশ ১৪ জুলাই
গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত লিভারপুল তারকা জোতা
গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত লিভারপুল তারকা জোতা
সর্বাধিক পঠিত
নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
সংযুক্ত কর্মচারী প‌রিষ‌দের জরু‌রি সভানবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
অনুদান কমিটি থেকে অভিনেত্রীর অব্যাহতি!
অনুদান কমিটি থেকে অভিনেত্রীর অব্যাহতি!
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
কার দোষে শ্রমবাজার বন্ধ হয় জানালেন আসিফ নজরুল
কার দোষে শ্রমবাজার বন্ধ হয় জানালেন আসিফ নজরুল