X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিশুধর্ষণ: মীমাংসাকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৪ জুলাই ২০১৯, ১৬:৪৬আপডেট : ১৪ জুলাই ২০১৯, ১৭:২৪



শিশুধর্ষণ: মীমাংসাকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে চতুর্থ শ্রেণির বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আপস-রফাকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দোষীদের গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে কিনা, তাও জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে ওই জেলার এসপি, স্থানীয় ওসি, ইউএনও এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা জানানোর জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতি আদেশ দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে রবিবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে, গত ১২ জুলাই ‘শিশু ধর্ষণে জরিমানা ১৪ হাজার টাকা’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনটি তুলে ধরার পর আদালত বলেন, ‘২ জনকে গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে। এ সময় আব্দুল হালিম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও গ্রাম পুলিশ কীভাবে এই মীমাংসা করলেন? তারা তো পাবলিক সার্ভেন্ট। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’

এরপর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে আদালত বলেন, আপনি খবর নিন। খবর নিয়ে আমাদের জানান। তারা (সালিশকারীরা) ৭ হাজার টাকা ভাগ করে নিয়েছেন। চাঁদাবাজি করেছেন। ওই টাকার ভাগ কে কে নিয়েছে? তাদের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনে মামলা হয়েছে কিনা, চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে কিনা, সব দেখতে হবে।
জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখানে ইউপি সদস্য নৈতিক স্খলনের দায়ে দোষী হবেন। তিনি এটা করতে পারেন না। প্রশাসন এ বিষয়ে কঠোর।
আদালত এ বিষয়ে দিনাজপুরের এসপি, ওসি ও ইউএনও কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা রবিবারের মধ্যে জানাতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের বলা হয়, ঘটনার দিন রিকশাচালকের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া প্রতিবন্ধী মেয়ে দোকান থেকে জুস নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। পথে একই এলাকার বাসিন্দা মেহেদুল ইসলাম (৪০) শিশুটিকে রাস্তার পাশে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওইদিন দুপুরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বাবলু, গ্রাম পুলিশ আব্বাস উদ্দিন, রাজমিস্ত্রি সুজন ও শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সালিশ বসে। সালিশে মেহেদুল ক্ষমা চান। পরে তাকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করে তাৎক্ষণিকভাবে তা আদায় করা হয়। আর শিশুটির বাবাকে ৭ হাজার টাকা দিয়ে কোনও মামলা না করার শর্ত দিয়ে ৩০০ টাকার সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করাতে বাধ্য করা হয়। বাকি টাকা সালিশকারীরা ভাগ করে নেন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ছাত্রীর বাবা বৃহস্পতিবার কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর মেহেদুল ও সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

/বিআই/এমএনএইচ/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
ভোট গণনা প্রক্রিয়ায় কোনও পরিবর্তন হবে না: ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
ভোট গণনা প্রক্রিয়ায় কোনও পরিবর্তন হবে না: ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত