২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের শাস্তি সংক্রান্ত ৯(১), ৯ (১)(ক) এবং ১১(ক) ধারা তিনটি কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। পরে শিশির মনির জানান, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতম দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের জন্য একমাত্র শাস্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। ৯(৪) (ক) ধারায় ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টার জন্য একমাত্র শাস্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১১ (ক) ধারায় যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টার জন্য যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড রয়েছে, যা সংবিধান পরিপন্থী।
কারণ এই তিনটি ধারায় একমাত্র শাস্তির বিধান থাকায় তা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী। আইনের দু’টি ধারা একমাত্র সাজা হিসেবে যাবজ্জীবন এবং অপর একটি ধারায় মৃত্যুদণ্ডের কথা উল্লেখ আছে। আইনে যখন একমাত্র সাজা নির্ধারণ করা হয়, তখন তা বিচারিক এখতিয়ারকে খর্ব করে বলেও তিনি জানান।
তাই আইনের ওই তিনটি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আইনজীবী শিশির মনিরসহ ১০ আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত সে রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করলেন।