কুমিল্লার দাউদকান্দিতে উপজেলা প্রকৌশলী আহসান আলীকে লাঞ্ছনার ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমনের অপসারণ দাবি করেছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন-বাংলাদেশ (আইইবি)। একইসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সুমনকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করে উপজেলা প্রকৌশলীকে লাঞ্ছনাকারীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকালে অনলাইনে আইইবি'র কার্যনির্বাহী কমিটির ৬৯৯তম সভায় এই দাবি জানানো হয়। আইইবির জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমরান হোসাইনের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইইবি'র প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার সময় সন্ত্রাসী ঠিকাদারদের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রকৌশলী আহসান আলী যখন থানায় মামলা করতে যান, তখন উপজেলা চেয়ারম্যান বাধা দেন। এ কারণে থানা-পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে গড়িমসি করে। পরে চাপে পড়ে পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু মামলার পর থেকে প্রকৌশলী আহসান আলীকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার পোষা সন্ত্রাসী বাহিনী। এই উপজেলা চেয়ারম্যান দাউদকান্দি উপজেলার উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দিচ্ছেন— এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে তিনি সরাসরি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছেন। এর আগেও এই উপজেলা চেয়ারম্যান সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল আলমসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেছেন। এটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এখন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে তিনি প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এই উপজেলা চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২ জুলাই কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী আহসান আলীর কাছে অবৈধ ও অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে ঠিকাদার নামধারী সন্ত্রাসী ফারুক, কাইফ, মো. আক্তার হোসেন, মো. লিয়াকত আলী, নাফিস, মোহাম্মদ মঈন চৌধুরী, মরিমল, রবিউল সরকার বাবু, মো. আল-আমিনসহ অনেকেই প্রথমে তার কক্ষে তালা দেয়। পরে প্রকৌশলী আহসান আলীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করে এই সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় মামলা না দিতে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করেন উপজেলা চেয়ারম্যানমোহাম্মদ আলী সুমন।