নিরাপদ সড়কের দাবিতে সফল ও অহিংস আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর উপকণ্ঠে বিমানবন্দর সড়কে বেপরোয়া দুই বাসের সংঘর্ষে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী রাজীব ও দিয়া নিহত এবং ১০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার প্রতিবাদে নিরাপদ সড়কের দাবিতে তরুণ শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে। সড়ক দুর্ঘটনার নামে ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও সড়কে নারকীয় পরিস্থিতি থেকে মুক্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী গড়ে ওঠা এই অহিংস আন্দোলনে সব শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন ও সমর্থন দিয়েছেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী মহলসহ প্রশাসনের সবাই এই আন্দোলনকে সমর্থন জানালেও এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তরুণ শিক্ষার্থীসহ সমর্থনকারী অসংখ্য নিরপরাধ ব্যক্তির নামে দায়ের করা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা আজও প্রত্যাহার করা হয়নি। আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর কথিত হেলমেটবাহিনীর হামলার বিচার বা হামলাকারীদের আজও চিহ্নিত করা হয়নি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বহু শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হলেও আজও তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের দেখানো পদ্ধতি সবার চোখ খুলে দিয়েছে বলা হলেও পরবর্তী সময়ে তার ধারাবাহিকতা না থাকায় সড়কে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতার তেমন কোনও উন্নতি হয়নি।’
‘শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তড়িঘড়ি করে নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ পাস করা হলেও সেই আইন বাস্তবায়নে অতীতের ন্যায় মালিক-শ্রমিক সংগঠনের অঘোষিত কর্মবিরতির নামে ধর্মঘট ডেকে দেশবাসীকে জিম্মি করার কারণে আজও এই আইন বাস্তবায়নে গতি পায়নি।’
বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে নিরাপদ সড়ক আন্দোলকারী শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের পাশাপাশি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তরুণ শিক্ষার্থী ও এই আন্দোলন সমর্থনকারী প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ও যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীসহ সবার নামে থাকা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।