X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

ভিয়েতনামে অর্থ ও মানবপাচারে জড়িত ২১ প্রতিষ্ঠান

চৌধুরী আকবর হোসেন
২৪ আগস্ট ২০২০, ১১:০০আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২০, ১৮:২৯

ভিয়েতনামের প্রবাসী কর্মীরা

প্রতিমাসে ৫০০ ডলারের বেশি আয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভিয়েতনামে। কর্মসংস্থানের আশায় প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সেদেশে গিয়ে ৬-৭ মাস পরেই ফিরতে আসতে বাধ্য হচ্ছেন ভুক্তভোগী প্রবাসীরা। কেউ কেউ নির্যাতনের শিকারও হচ্ছেন। মানবপাচারকারী চক্র জোরপূর্বক অর্থপাচারের কাজেও ব্যবহার করছেন প্রবাসীদের। সর্বশেষ ১৮ আগস্ট প্রতারণার শিকার ১০৬ জন প্রবাসী দেশে ফিরে এসছেন। ভিয়েতনামে থাকা ও ভিয়েতনামফেরত একাধিক প্রবাসী বাংলা ট্রিবিউনের কাছে এসব ভোগান্তির বর্ণনা দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য ও বাংলা ট্রিবিউনের অনুসন্ধানে ভিয়েতনামে অর্থ ও মানবপাচারে জড়িত  প্রতিষ্ঠনগুলোর নাম উঠে এসেছে।

ভিয়েতনাম গিয়ে প্রতারণার শিকার হওয়া ১০৬ জন প্রবাসী কর্মী ১৮ আগস্ট দেশে ফিরে এসেছেন।  ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা দেশে ফিরেন। ভাগ্য বদলানোর  আশা নিয়ে সেদেশে গেলেও তাদের ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। কেউ কেউ শিকার হয়েছেন নির্যাতনের। এখন ভিয়েতনামে যারা আছেন তারাও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।  হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দ হয়ে বেশিরভাগ কর্মীকে ভিয়েতনাম পাঠানো হয়। তবে কাউকে কাউকে ভারতের কলকাতা হয়েও ভিয়েতনামে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে। 

পোর্টসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রহমান

জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র  নেওয়া ৯  রিক্রুটিং এজেন্সি

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ৯  রিক্রুটিং এজেন্সি জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে ভিয়েতনামে কর্মী পাঠানোর ছাড়পত্র নেয়। তাদের হয়েই কাজ করে দালাল চক্র। ভিয়েতনাম যেতে প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হয় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। এই এজেন্সিগুলো হচ্ছে—মেসার্স এ ঝর্ণা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (আরএল ১৭২৬), মেসার্স  সন্ধানী ওভারসিস লিমিটেড (আরএল ৪১৬), মেসার্স মাম অ্যান্ড ম্যাম ওভারসিস (আর এল ১২১৭), মেসার্স মুন এয়ার ইন্টারন্যাশনাল (আর এল ৫৯৩), মেসার্স  ইস্তেমা ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (আর এল ১২৫১), মেসার্স  আফিফ ইন্টারন্যাশনাল (আর এল ১৭২১), মেসার্স এস কে গ্লোবাল ওভারসিস (আর এল ১৪৪৭), মেসার্স রেজওয়ান ওভারসিস (১৩৬০), মেসার্স হোলি ওভারনিস লিমিটেড (আর এল ৭৫০)।

ভিয়েতনামে থাকা   আল আমিন

কর্মী সংগ্রহ ও অর্থ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ১২ প্রতিষ্ঠান

জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র  নেওয়া  রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা ৯টি  হলেও তাদের সহায়তা জড়িত আরও ১২টি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের দালালদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কর্মী সংগ্রহের কাজ করে। এই ১২টি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—

পোর্ট সিটি  ইন্টারন্যাশনাল (আর এল ১৩৩৪), স্টার লাইন অ্যাসোসিয়েট (আর এল ৭৭৬), মেসার্স  দ্য জে কে ওভারসিস লিমিটেড (আর এল ১৫৯১), আল নোমান হিউম্যান রিসোর্স, মেসার্স সাতক্ষীরা ইন্টারন্যাশনাল (আর এল ৯৯৭),  ম্যাশ কেরিয়ার সার্ভিসেস, অ্যাডভ্যান্ট ওভারসিস লিমিটেড (আরএল ১৫১৪), এম আক্তার অ্যান্ড সন্স (আরএল ১২৮৪), মেসার্স  হাইওয়ে ইন্টারন্যাশনাল (আর এল ২৭), মেসার্স অলিম্পিক ট্রেইলক (বিডি) লিমিটেড, কাজি এন্টারপ্রাইজ, রেঞ্জার ইন্টারন্যাশনাল।

মো. রাজু আহমেদ পোর্ট সিটি  ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে ভিয়েতনামে যান। পল্টনে এই প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রহমান তাদের সাক্ষাৎকার নেন। তাদের সার্টিফিকেটের কপিও জমা রাখা হয়।

ভিয়েতনামে মোস্তফা তালকুদার

তবে আব্দুর রহমানের দাবি, তিনি শুধু ভিয়েতনাম যাওয়ার জন্য এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রি করেছেন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘আগে ব্যবসা করতাম। এখন করি না। আমার লাইসেন্স ৪-৫ মাস হলো বিক্রি করে দিয়েছি। মানুষ আমাকে ভুল বুঝতেছে। টিকিট বিক্রি করা মানে তো লোক পাঠানো না।’

তার অফিসে ভিয়েতনামে গমনেচ্ছুদের সাক্ষাৎকার নেওয়া প্রসঙ্গে আব্দুর রহমান বলেন, ‘কয়েকটি এজেন্সির লোক আমার অফিসে কিছু লোককে নিয়ে এসেছিল। তারা কেন এনেছিল তা তো আমি জানি না।’

মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করলেও ভিয়েতনামে থাকা মোস্তফা ও তার ভাইকে চেনেন আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি টিকিট বিক্রির ৪ লাখ টাকা এখনও পাইনি। ভিয়েতনামে বসবাসকারী মোস্তফাকে ফোন দিলে সে ফোন ধরে না। তার ভাইও ফোন ধরে না।’

মোস্তফার ভাই মাসুদ

ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশে মোস্তফার  সিন্ডিকেট

ভিয়েতনামে কর্মসংস্থানের নামে মানবপাচারের নেপথ্যে রয়েছেন মোস্তাফা তালুকদার। সেদেশের বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর পাসপোর্ট আটকে রাখা, বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া ডলার ছিনিয়ে নেওয়া, কর্মীদের নির্ধারিত ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া এবং  নির্যাতন করা—এই পুরো কর্মকাণ্ডে মোস্তফাকে সহায়তা করতে কমপক্ষে ১০ বাংলাদেশি সেখানে অবস্থান করছেন।

জানা গেছে, ভিয়েতনামে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পেয়ে সেখানেই বসবাস করছেন মোস্তফা। দেশটিতে বাংলাদেশিদের নিতে ভিসা সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড তার নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার পর কর্মীদের মোস্তফার লোকজন জিম্মি করে রাখে। সেদেশে প্রতারিত হয়ে ফিরে আসা একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, মোস্তফা তালুকদারের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন—জব্বার, আতিক, সাইফুল ইসলাম, ফয়েজ, ইফতেখার, মিলন, আকরাম, নাসির, মাসুদ, রায়হান। এছাড়া মোস্তফার শ্যালক ভিয়েতামের নাগরিক খাঁ এই সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করেন।

অন্যদিকে মোস্তফার এক ভাই মো. মনসুরুল হক বাংলাদেশে রিক্রুটিং এজেন্সি, ট্রাভেল এজেন্সি ও দালালদের সঙ্গে লিয়াজোঁ রাখেন।  তিনি ফিরোজ নামেও কারও কারও কাছে পরিচিত।

স্টার লাইন এসোসিয়েটের ফিরোজ

মোস্তফা তালুকদারের প্রধান সহযোগী জব্বার, আতিক ও সাইফুল। দেশে ফেরা প্রবাসীরা জানিয়েছেন এই তিন জনও ভিয়েতনামে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পেয়েছেন।

জানা যায়, ভিয়েতনাম পৌঁছানোর পর প্রবাসী কর্মীদের রিসিভ করে তাদের পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয়। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া ডলারও কেড়ে নেয় তারা। এরপর তাদের নির্ধারিত একটি বাড়িতে রাখা হয়। সেখানে খাওয়ার খরচ প্রবাসীদের নিজেদের বহন করতে হয়। কাউকেই দেওয়া হয় না প্রতিশ্রুতির দেওয়া কোনও কাজ। বরং বিভিন্ন জায়গায় অল্প সময়ের জন্য কাজ করানো হয়। তবে সে কাজের পারিশ্রমিকও তাদের দেওয়া হয় না। খাওয়া খরচ বাবদ কেটে রেখে অল্প কিছু টাকা হাতে দেওয়া হয়। বেতন চাইলে কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালায় মোস্তফার সহযোগীরা।

এসব বিষয়ে জানতে মোস্তফা তালুকদার, তার ভাই মনসুরুল হক, সহযোগী ইফতেখারকে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি।

ভিয়েতনামে থাকা ইফতেখার

দেশে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে ২০ দালাল

রিক্রুটিং এজেন্সির হয়ে মাঠ পর্যায়ে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন দালাল দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজ করে। মূলত তারাই প্রচারণা চালায় যে, ভিয়েতনামে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কারখানায় ফ্লোরম্যান, সুপারভাইজর পদে নিয়োগ করা হবে। সেখানে দিনে ৮ ঘণ্টা কাজ করলেই ৫০০ ডলার বেতন দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানের খরচেই থাকা ও খাওয়া বহন করা হবে। এসব দালালের মূল টার্গেট হলো এসএসসি বা এইচএসসি পাস তরুণরা। আগ্রহীদের ঢাকায় বিভিন্ন এজেন্সির অফিসে নেওয়া হয় সাক্ষাৎকার, জমা নেওয়া হয় শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট। ভিয়েতনাম যাওয়ার জন্য তাদের জনিপ্রতি নেওয়া হয় কম করে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।

ভিয়েতনামে অর্থপাচার ও প্রবাসীদের নির্যাতন

বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনামে যাওয়ার সময় প্রত্যেকের সঙ্গে এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার ডলার পর্যন্ত দেওয়া হয়। কেউ ডলার বহনে রাজি না হলে ফ্লাইট বাতিলের ভয় দেখানো হয়। ভিয়েতনামে পৌঁছানোর পর মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা বিমানবন্দরে তাদের গ্রহণ করে। তারপর তাদের সঙ্গে থাকা ডলার নিয়ে নেয় তারা। একইসঙ্গে তাদের সবার পাসপোর্টও কেড়ে নেওয়া হয়।

ভিয়েতনামে থাকা আতিকুর রহমান আতিক

১৪ জানুয়ারি ভিয়েতনাম গিয়েছিলেন মো. রুবেল। অর্থপাচারকারীরা তাকে এক হাজার ডলার দেয় সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ভিয়েতনামে পৌঁছানোর পর চক্রের সদস্যরা ডলারের পাশাপাশি তার পাসপোর্টটিও কেড়ে নেয়।

ফেরত আসা ব্যক্তিরা জানান, ভিয়েতনামে যাওয়ার পর কাজ না পেয়ে  যারা প্রতিবাদ করেন, তাদের সবাইকেই নির্যাতনের শিকার হতে হয়। মো. রুবেলে কাজ না পেয়ে দেশে থাকা দালাল মো. জুলহাস মোল্লাকে ফোন করেন এবং তাকে দেশে ফিরেয়ে আনতে বলেন। এজন্য তাকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

রুবেল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চার লাখ টাকা দিয়ে আমি জুলহাস মোল্লা নামের এক দালালের মাধ্যমে ভিয়েতনাম গিয়েছিলেন। এই দালাল স্টার লাইন এজেন্সির হয়ে কাজ করে। মার্চ মাসে আমি জুলহাস মোল্লাকে বলি, আমাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে। তখন সে আমাকে হুমকি দেয়—ভিয়েতনামেই  আমাকে তার লোক দিয়ে মেরে হাত-পা ভেঙে দেবে। এরপর মোস্তফার সহযোগী জব্বারসহ কয়েকজন এসে  আমাকে গালাগাল ও মারধর করে।’

একই ধরনের নির্যাতনের শিকার হন মো. সুমন মিয়া। শুধু মারধর নয়, তাকে কয়েক দফা নির্যাতন ও জিম্মি করে দেশে থাকা তার মায়ের কাছ থেকে টাকাও আদায় করা হয়।

সুমন মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০১৯ সালে দালালের প্রলোভনে পড়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ভিয়েতনাম যাই। সেখানে থাকা ফয়েজ, শরিফ, সাইফুল, আতিক আমাকে মারধর করে। আমাকে জিম্মি করে তারা আমার মায়ের কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা নিয়ে দিতে বাধ্য করেছে। পরে কয়েকজন বাংলাদেশির সহায়তায় জীবন বাঁচিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেই বাংলাদেশ দূতাবাসে। আমাকে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। আমাকে হাত পা বুক কোথাও বাকি নাই যে মারেনি। তারা আমাকে মেরে মেরে দেশ থেকে টাকা এনে দিতে বাধ্য করতো। এখন আমি খেতে পারি না, খাওয়ার পর বমি হয়।’

/এপিএইচ/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দুবাইতে বিশ্বের ২৩ নম্বর চীনের সুপার গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে ড্র করে ফাহাদের চমক
দুবাইতে বিশ্বের ২৩ নম্বর চীনের সুপার গ্র্যান্ডমাস্টারের সঙ্গে ড্র করে ফাহাদের চমক
জিরোনার মাঠে বার্সেলোনার নাটকীয় হারে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল
জিরোনার মাঠে বার্সেলোনার নাটকীয় হারে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল
‘ফাইভ স্টার’ ম্যানসিটি, চার গোল হাল্যান্ডের
‘ফাইভ স্টার’ ম্যানসিটি, চার গোল হাল্যান্ডের
ঢাকায় পুনর্মিলন সেরে ক্যাঙ্গারুর দেশে...
ঢাকায় পুনর্মিলন সেরে ক্যাঙ্গারুর দেশে...
সর্বাধিক পঠিত
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
জাল দলিলে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ!
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
এডিবি কর্মকর্তা গোবিন্দ বরের বিরুদ্ধে বিশিষ্টজনদের হয়রানির অভিযোগ
এডিবি কর্মকর্তা গোবিন্দ বরের বিরুদ্ধে বিশিষ্টজনদের হয়রানির অভিযোগ