X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের মানুষ না চাইলে সিঙ্গাপুর চলে যাবো: ড. বিজন কুমার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩০ আগস্ট ২০২০, ১৮:২৬আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২০, ১৯:০৮

ড. বিজন কুমার শীল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট’ উদ্ভাবক দলের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীলের জন্ম বাংলাদেশে। ২০০২ সালে সিঙ্গাপুরের সিভিল সার্ভিসে যোগদানের সময় নিয়ম অনুযায়ী তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে দেন। একইসঙ্গে চাকরির নিয়ম অনুযায়ী সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে অবস্থান করছেন। তবে বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে তার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ বাড়ানো আবেদন জমা দেওয়া আছে।

এ বিষয়ে ড. বিজন কুমার শীল রবিবার (৩০ আগস্ট) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমার ভিসার মেয়াদ আরও এক বছর আছে। আমার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য গণবিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করেছে। তাদের কাছে কিছু কাগজপত্র চেয়েছে। এখনও দেশের মানুষ যদি মনে করে আমি তাদের কোনও উপকার করি নাই, তাহলে আমি সিঙ্গাপুরে চলে যাবো। এতে তো কোনও সমস্যা দেখছি না। আর দেশের মানুষ চাইলে সরকার আমাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেবে। মানুষের কল্যাণে কাজ করবো।

বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান। চলতি বছরের ১ জুলাই তার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়।

ড. বিজন কুমার বলেন, সিঙ্গাপুর সিভিল সার্ভিসে যোগদানের নিয়ম অনুযায়ী আমাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে সেই দেশের নাগরিকত্ব নিতে হয়েছে। আমার বাড়ি ও জন্মস্থান বাংলাদেশ।

গণবিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অব্যাহতির খবর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. বিজন কুমার বলেন, এই গুজবের বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আপনি গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেন। তারাই আমার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছে। আমি বিজ্ঞানী মানুষ, করোনার বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে বলেন।

গণস্বাস্থ্যের করোনা অ্যান্টিবডি কিটের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে ডা. বিজন কুমার বলেন, আমরা রি-এজেন্ট আমদানির অনুমতি পেয়েছি। বিদেশি রি-এজেন্টের অর্ডারও করা হয়েছে। সেগুলো এলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হবে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য।

১৯৬১ সালে জন্ম নেওয়া নাটোরের কৃষক পরিবারের সন্তান ড. বিজন কুমার শীল বনপাড়া সেন্ট জোসেফ স্কুল থেকে এসএসসি ও পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ভর্তি হয়েছিলেন ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভেটেরিনারি সায়েন্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক পাস করেছিলেন। অণুজীব বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও নিয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। কমলওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে ‘শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি’ বিষয়ে পিএইচডি করেছেন যুক্তরাজ্যের দ্য ইউনিভার্সিটি অব সারে থেকে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি সুপরিচিত গবেষক ও অণুজীব বিজ্ঞানী হিসেবে।

/এএইচআর/এমআর/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: প্রতিমন্ত্রী
প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: প্রতিমন্ত্রী
পোর্টেবল এসির সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জানেন?
পোর্টেবল এসির সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জানেন?
কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশি ২০ নারী ও শিশু
কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশি ২০ নারী ও শিশু
বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে জিতলো ভারত 
বৃষ্টি আইনে ১৯ রানে জিতলো ভারত 
সর্বাধিক পঠিত
এসি কেনার আগে মনে রাখতে হবে এই ৭ বিষয়
এসি কেনার আগে মনে রাখতে হবে এই ৭ বিষয়
ট্রাকের চাকায় পিষে দেওয়া হলো ৬ হাজার কেজি আম
ট্রাকের চাকায় পিষে দেওয়া হলো ৬ হাজার কেজি আম
বেতন বৈষম্যে উচ্চশিক্ষার মান হারাচ্ছে বেসরকারি কলেজগুলো
বেতন বৈষম্যে উচ্চশিক্ষার মান হারাচ্ছে বেসরকারি কলেজগুলো
সিএনজির রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করতে বিআরটিএ অফিস ঘেরাও
সিএনজির রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করতে বিআরটিএ অফিস ঘেরাও
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা