ঘরের কাজে বেশি সময় পার করতে হলেও অন্য পেশায় যোগ দেওয়ার সব রকম যোগ্যতা আছে বলে মনে করেন দেশের বেশির ভাগ গৃহিণী। বাংলা ট্রিবিউনের দেশব্যাপী ৪ হাজার ৮০০ নারীর ওপর পরিচালিত জরিপে অংশগ্রহণকারী ১৬০০ গৃহিণীদের ৫২.৩১ শতাংশ নিজেদের গৃহকর্মের বাইরে অন্য পেশাতেও যোগ্য মনে করেন। এক্ষেত্রে গ্রামের তুলনায় এগিয়ে শহুরে গৃহিণীরা। শহুরে ৮০০ জন গৃহিণীদের ৫৭.৫০ শতাংশ নিজেকে অন্য পেশার ক্ষেত্রে যোগ্য ভাবেন। সমান সংখ্যক গ্রামে বসবাসকারী গৃহিণীদের মধ্যে এ হার প্রায় ৪৭.১৩ শতাংশ।
এদিকে গৃহিণীরা পেশায় যোগদানের বিষয়ে নিজেদের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করলেও তাদের অধিকাংশেরই স্বাধীনভাবে বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই। এদের ৭০.৯৪ শতাংশ ইচ্ছা করলেই বাইরে যেতে পারেন না।
সম্প্রতি বাংলা ট্রিবিউনের দেশব্যাপী ৪ হাজার ৮০০ নারীর ওপর পরিচালিত নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক জরিপে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
এদিকে স্বাধীনভাবে পেশা বেছে নিতে পেরেছেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে প্রায় ৬৭ শতাংশ নারী হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়েছেন। এই হার গ্রামের তুলনায় শহরেই বেশি দেখা গেছে। শহরের প্রায় ৬৮ শতাংশ কর্মজীবী নারী স্বাধীনভাবে পেশা বেছে নিতে পারার কথা জানিয়েছেন, অপরদিকে গ্রামের প্রায় ৬৬ শতাংশ নারী এক্ষেত্রে সফল হয়েছেন।
জরিপ পরিচালনা: বাংলা ট্রিবিউন
জরিপ পরিচালনার সময়কাল: ২২ ফেব্রুয়ারি- ২৯ ফেব্রুয়ারি
নমুনা (sample) সংগ্রহের প্রক্রিয়া:
১. প্রতিটি বিভাগে ৩০০ জন শহুরে এবং ৩০০ জন গ্রামীণ নারীকে ২০টি করে প্রশ্ন করা হয়। (এভাবে আটটি বিভাগে মোট ৪৮০০ জনের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়)।২. শহুরে বলতে বোঝানো হয়েছে- বিভাগীয় শহরে বসবাসকারী নারী এবং গ্রামীণ বলতে বোঝানো হয়েছে- জেলা, উপজেলা, থানার গ্রাম পর্যায়ের বসবাসকারী নারী।
৩. শুধু নারীদের ওপরই এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।
৪. পেশাভিত্তিক অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা সমান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থী ১০০ জন, কর্মজীবী নারী ১০০ জন এবং গৃহিণী ১০০ জন।
৫. দৈবচয়ন পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতি অংশগ্রহণকারীর উত্তর নেওয়ার পর ৫ মিনিট অন্তর অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করা হয়।৬. জরিপকারীরা একই স্থানে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা অবস্থান করেছেন।
৭. নমুনা সংগ্রহের জন্য জেলা/বিভাগের হাটবাজার/শপিংমলকে স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।৮. দেশের আটটি বিভাগে এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।