X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অজয় রায়ের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ অক্টোবর ২০১৯, ২১:২৬আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ২১:৩১

 

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অজয় রায়ের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অজয় রায়ের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে রাজনৈতিক সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা ফুলেল শ্রদ্ধায় তাকে স্মরণ করেন। আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী বলেন, ‘অজয় রায় সবসময় দেশ ও সমাজ নিয়ে ভাবতেন, আমাদেরকেও ভাবতে উৎসাহিত করতেন। দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানে তিনি উদ্বিগ্ন হতেন। প্রতিকারে আমাদেরকে দিক-নিদের্শনা দিতেন।’
সভাপতির বক্তব্যে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারেক আলী বলেন, ‘অজয় রায় সবসময় জাতীয় দুর্যোগের মুহুর্তগুলো নিয়ে চিন্তিত থাকতেন, তিনি নিজস্ব চিন্তা থেকে সর্বদা সবাইকে সজাগ রাখার বিষয়ে উদ্যোগী হতেন। সারাদেশে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা ও নানান শঙ্কা ব্যক্ত করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দিতেন। আজকে এই সময়ে অজয় রায়ের মতো চিন্তাশীল নেতৃত্বের খুবই দরকার। তার চেতনা ও মননশীলতায় আমরা বিমোহিত। আমরা অজয় রায়ের দিক-নির্দেশনার অভাব তীব্রভাবে অনুভব করি। তার শূন্যতা জাতীয় জীবনে অপূরণীয় হয়ে আছে।’

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, ‘অজয় রায় যে মানবিক সমাজের স্বপ্ন দেখতেন, যে স্বপ্ন পূরণে আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন; সেই সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা আমরা আজও  অর্জন করতে পারিনি। তবে আমি আশাবাদী, আমাদের নতুন প্রজন্ম কমরেড অজয় রায়ের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবে।’

বিচারপতি কাজি এবাদুল হক বলেন, ‘অজয় রায় ছিলেন একজন সমাজ সচেতন অতিমানবিক একজন রাজনীতিক। তার সাম্যবাদী রাজনৈতিক দর্শন আমাদের চলার পাথেয়। সাম্প্রদায়িকতাবাদী, লুটেরা ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে তার সাহসী উদ্যোগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন বলেন, ‘অজয় রায় অসাস্প্রদায়িক স্বদেশ গড়ার যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের সূচনা করেছেন, তা অব্যাহত রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’

সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, ‘অজয় রায় ছিলেন একজন জীবনবাদী রাজনীতিক। মানব মুক্তিই ছিল তার অভিষ্ট লক্ষ্য।’

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, মনিসিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্টের সভাপতি শেখর দত্ত ও মুকুল চৌধুরী। অজয় রায়ের রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করেন তার সহধর্মিনী জয়ন্তী রায়। ঐক্য ন্যাপের সহসভাপতি এসএমএ সবুর ও গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, অজয় রায় ১৯২৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বারানসী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইএসসি পাস করেন ১৯৪৫ সালে। ছাত্রজীবনেই মার্কসবাদী আদর্শে দীক্ষিত হন। এরপর কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। পার্টির মুখপত্র সাপ্তাহিক একতা’র সম্পাদক ছিলেন।

/এসটিএস/এনআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে জাতিসংঘে সমালোচনার মুখে তালেবান
মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে জাতিসংঘে সমালোচনার মুখে তালেবান
লক্ষ্মীপুরের পাঁচ ইউপির তিনটিতে নতুন মুখ, দুটিতে পুরোনোতে আস্থা
লক্ষ্মীপুরের পাঁচ ইউপির তিনটিতে নতুন মুখ, দুটিতে পুরোনোতে আস্থা
স্কুল-মাদ্রাসা ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
স্কুল-মাদ্রাসা ২ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন
ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্য উন্মোচন
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ