মুক্তিযোদ্ধাদের নাম যুক্ত করে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম রাখা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্বাচীন আচরণের বহিঃপ্রকাশ। রাজনৈতিক বিবেচনায় এই তালিকা হয়েছে কিনা তদন্ত হওয়া দরকার।’
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জে পার্টির বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ পরিবারের সদস্য এবং স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম কীভাবে রাজাকারের তালিকায় যুক্ত হয়—এমন প্রশ্ন রেখে সাইফুল হক বলেন, ‘যেসব মুক্তিযোদ্ধাদের নাম রাজাকারের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে অনতিবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের ক্ষমা চাইতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যাচাই-বাছাই না করে দায়সারাভাবে তালিকা প্রকাশ বিস্ময়কর ও পক্ষপাতহীন।’
সাইফুল হক জানান, সভায় এক প্রস্তাবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ প্রতিবাদে ৩০ ডিসেম্বর বাম জোট দেশব্যাপী কালো দিবস পালন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান টিপু, জেলা কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, শহীদুল ইসলাম নান্নু, সাইফুল ইসলাম, রোকসানা আক্তার, আইয়ুব আলী, আঙ্গুর মিয়া প্রমুখ।