বংশালে মিরনজিল্লা হরিজন কলোনি পরিদর্শন করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের শীর্ষ নেতারা। বুধবার (১২ জুন) সরেজমিন তাৎক্ষণিক সমাবেশ করে জোটের নেতারা উচ্ছেদ অভিযান থেকে বিরত থাকতে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
নেতারা বলেন, ‘অসহায় হরিজনদের উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। গত চারশ বছর ধরে বসবাসরত হরিজনদের ভূমির অধিকার রয়েছে। মার্কেট নির্মাণের উদ্দেশ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অমানবিকভাবে কলোনির ঘর-বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিচ্ছে।’
‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১ জন হরিজন নেতা জীবন উৎসর্গ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছরে আজ তারা তাদের বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাবে, এটি আশা করা যায় না। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এদের উচ্ছেদ করে ধনী-লুটেরাদের সুযোগ করে দিচ্ছে।’ বলেন নেতারা।
পল্লীতে তাৎক্ষণিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাম জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতা ডা. হারুন অর রশীদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাসদ নেতা নিখিল দাস, খালেকুজ্জামান লিপন, সিপিবি নেতা মিহির ঘোষ, মঞ্জুর মঈন, তাসমিনা আক্তার সাথী, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা মানস নন্দী, সীমা দত্ত, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতা ইকবাল কবীর প্রমুখ।
নেতারা বলেন, ‘গত ৪০০ বছর ধরে হরিজনরা বংশালের মিরনজিল্লা হরিজন কলোনিতে বসবাস করে আসছে। শহর পরিষ্কার রাখতে এবং মানুষদের পরিচ্ছন্ন রাখতে তারা বংশ পরম্পরায় সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এই কলোনি ছাড়া তাদের যাওয়ার কোনও জায়গা নেই। তারা সবসময় অবহেলার শিকার হয় এবং অমানবিক পরিবেশে ছোট ১০ ফুট বাই ১০ ফুট ঘরে স্বামী-স্ত্রী, পুত্র-কন্যা-পুত্রবধূ নিয়ে গাদাগাদি করে তাদের জীবনযাপন করতে হয়। তাদের বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা না করে এই উচ্ছেদ অভিযান কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’