X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

স্থানীয় বিরোধ নিরসনে তৃণমূলে যেতে চান আ. লীগ নেতারা

পাভেল হায়দার চৌধুরী
২২ মে ২০১৭, ১৮:৪৫আপডেট : ২২ মে ২০১৭, ১৮:৪৭

আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বিরোধ মীমাংসায় স্থানীয় নেতাদের ঢাকায় ডেকে এনে ‘সালিশ’ করার বিপক্ষে  দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা। তাদের মতে, তৃণমূল নেতাদের ঢাকায় ডেকে না এনে কেন্দ্রীয় নেতারা জেলায়-জেলায় গিয়ে সভা করে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সমস্যার সমাধান করা উচিত। তাহলেই সুফল পাওয়া যেত। তা না করে ঢাকায় ডেকে এনে মীমাংসার চেষ্টা করায় উল্টো তৃণমূলের বিরোধ বাড়ছে, স্থানীয় রাজনীতিতে গ্রুপিং সৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় এমন মত প্রকাশ করেছেন সম্পাদকমণ্ডলীর নেতারা। জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তাহলে আমাদের বিকল্প ভাবা উচিত। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার একটি বিরোধ মীমাংসায় স্থানীয় নেতাদের ঢাকায় ডেকে এনে বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টার সময় ধানমন্ডি কার্যালয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এছাড়া মৌলভী বাজার, চট্টগ্রামসহ আরও কয়েকটি জেলার নেতাদের বিরোধও একইভাবে সুরাহার চেষ্টায় কোনও সুফল মেলেনি বলে কেন্দ্রীয় নেতারা জানান।   

সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত একজন নেতা জানান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান সভায় বলেন, ‘তৃণমূলের বিরোধ মীমাংসায় স্থানীয় নেতাদের ঢাকায় ডেকে আনায় স্থানীয় রাজনীতিতে গ্রুপিং আরও বাড়ছে। এর চেয়ে তৃণমূলের সমস্যা সমাধানে স্থানীয়দের বেশি বেশি অন্তর্ভুক্ত করলে সুফল পাওয়া যেত।’ তার প্রস্তাব, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তৃণমূলের সমস্যা সমাধানে স্থানীয়ভাবে সুরাহা করার উপায় খুঁজতে হবে।’  এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এমন হলে অবশ্যই বিকল্প চিন্তা করতে হবে।’

সম্পাদকমণ্ডলীয় সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সবাইকে নির্বাচনভিত্তিক স্থানীয় রাজনীতিতে না জড়ানোর নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগে আগেই নির্বাচন করার মানসিকতা নিয়ে এলাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের খবরদারিতে স্থানীয় পর্যায়ে অস্থিরতা তৈরি করবে। এই মানসিকতা সবাইকে পরিহার করতে হবে।’ এ সময় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির কবির নানক দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের রাজনৈতিক তৎপরতায় দলীয় কার্যক্রমে গতি এসেছে বলে মন্তব্য করেন।  এ জন্য সাধারণ সম্পাদককে তিনি ধন্যবাদ জানান।

অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার আগে কেন্দ্রের অনুমতি নেওয়ার বিষয় তোলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস। তাদের প্রস্তাবে একমত পোষণ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

/এমএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নাট্যকার সংঘ: সভাপতি মুননা, সম্পাদক উজ্জ্বল
নাট্যকার সংঘ: সভাপতি মুননা, সম্পাদক উজ্জ্বল
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ
লিথুয়ানিয়ার ড্রোন হামলা ব্যর্থ হয়েছে: বেলারুশ
কায়রো সফরে যাচ্ছে হামাসের প্রতিনিধিদল
কায়রো সফরে যাচ্ছে হামাসের প্রতিনিধিদল
ইংল্যান্ডের হাতে ইউরো ট্রফি দেখার অপেক্ষায় গার্দিওলা
ইংল্যান্ডের হাতে ইউরো ট্রফি দেখার অপেক্ষায় গার্দিওলা
সর্বাধিক পঠিত
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে
মিল্টনের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের এখন কী হবে