X
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
১১ চৈত্র ১৪৩১

ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে: ওবায়দুল কাদের

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৫আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৪

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুলের দেওয়া বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম, হত্যার ঘটনা সর্বৈব মিথ্যা এবং দায়েরকৃত মামলার সংখ্যার তথ্য সম্পূর্ণ বানোয়াট। বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপির সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর তারা এখন মনগড়া তথ্য দিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের’ নিন্দা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ যখন পবিত্র ঈদ উৎসব উদযাপন করছে, নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে প্রতিটি গৃহকোণ পরিবার-পরিজন নিয়ে উৎসবে মাতোয়ারা, ঠিক সে সময়ে বিএনপি তথাকথিত ‘গুম-নির্যাতনের’ কাল্পনিক তথ্য দিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।

তিনি বলেন, তথাকথিত গুম, খুন ও মামলার সংখ্যা নিয়ে বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে করুণা ও রাজনৈতিক সমর্থন লাভের আশায় বিএনপি নেতারা ধারাবাহিকভাবে সরকারবিরোধী এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম ঢালাওভাবে অপপ্রচার না চালিয়ে রাজনৈতিক কারণে তথাকথিত নিপীড়ন-নির্যাতনের কোনও ঘটনা ঘটলে সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ বিএনপি নেতাদের সম্পূর্ণ তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করুন।

তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে মৃত্যুবরণকারী যুবদল নেতা একজন স্থানীয়ভাবে চিহ্নিত মাদকসেবী এবং তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। কোনও প্রকার আইনের ব্যত্যয় ঘটলে সরকার গুরুত্বসহকারে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। কিন্তু মির্জা ফখরুল একজন মাদকাসক্ত এবং মাদক ব্যবসায়ীর মতো একজন অপরাধীর স্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ‘বিরোধী দলের ওপর সরকারের নির্যাতন’-এর অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালিয়ে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল তখন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র চালায়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে অপারেশন ক্লিনহার্টসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে মোট ১ হাজার ২২৩ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ার এবং পুলিশ হেফাজতে হত্যা করে।

এতে আরও বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে যেকোনও মূল্যে গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।

/এমআরএস/ইউএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
জামিন নিতে গিয়ে কারাগারে দুই আওয়ামী লীগ নেতা
আওয়ামী লীগ নেতা টুকু গ্রেফতার
সর্বশেষ খবর
জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে প্রথম ডকুড্রামা
জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে প্রথম ডকুড্রামা
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ
স্বাধীনতা দিবসে ‘দুরন্ত’ আয়োজন
স্বাধীনতা দিবসে ‘দুরন্ত’ আয়োজন
গুজরাটকে হারিয়ে শ্রেয়াসের আক্ষেপ মুছে দিলো পাঞ্জাব
গুজরাটকে হারিয়ে শ্রেয়াসের আক্ষেপ মুছে দিলো পাঞ্জাব
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ কখন, দেখবেন কোথায়?
বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ কখন, দেখবেন কোথায়?
তামিমের কামব্যাক ও একটি ‘যেন-তেন’ হাসপাতাল
তামিমের কামব্যাক ও একটি ‘যেন-তেন’ হাসপাতাল
নিখোঁজ হামিম গ্রুপের জিএম আহসান উল্লাহর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
নিখোঁজ হামিম গ্রুপের জিএম আহসান উল্লাহর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া এলজিইডি প্রকৌশলীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া এলজিইডি প্রকৌশলীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
বাইরের লোক দিয়ে চলে কম্পিউটারে কাজ, সরকারি ফির ১০ গুণ আদায়
শশরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসবাইরের লোক দিয়ে চলে কম্পিউটারে কাজ, সরকারি ফির ১০ গুণ আদায়