ফতোয়া স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি বলেন, ইসলামে সন্ত্রাস সমর্থন করে না। এ বিষয়ের পাশাপাশি ফতোয়া থাকতে হবে জঙ্গি, সন্ত্রাস দমনের নামে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না। তবেই ফতোয়া স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বারিধারা মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক আলমদের নিয়ে গঠিত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর কমিটিতে বিরোধ এখনও বিদ্যমান। গত বছরের মতো এবারও ইফতার ও দোয়া মাহফিল আয়োজন যোগ দেননি রাজধানীর লালবাগ মাদ্রাসাকেন্দ্রিক হেফাজত নেতারা। হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহর, মাওলানা আবুল হাসনাত আমীনী, মুফতি সাখাওয়াত, মাওলানা আলফাত হোসাইনসহ অন্য নেতারাদের দেখা যায়নি হেফাজতের ইফতারে।
জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, গুম, খুন, নিরীহ মানুষকে হত্যা ইসলাম সমর্থন করে না। ইসলামে সন্ত্রাস দমনের জন্য জিহাদের আশ্রয় নিয়েছে। সন্ত্রাস দমনের একমাত্র পথ ইসলামি জিহাদ। কিন্তু জঙ্গি, সন্ত্রাস দমনের নামে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা ইসলাম পরিপন্থী কাজ।
জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, নির্দোষীদের ওপর দোষ চাপানোর কারণে দোষীরা ধরা পড়ছে না। দোষীদের বিচার হোক আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু একজন মুয়াজ্জিন, ইমামকে জঙ্গি বানিয়ে গ্রেফতার করা, এর চেয়ে জুলুম আর কিছু হতে পারে না।
বর্তমান শিক্ষানীতি, সিলেবাস বাতিলের দাবি জানিয়ে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, এই ইসলামবিদ্বেষী শিক্ষানীতি কোনও অবস্থায় থাকতে দেওয়া হবে না। এজন্যে প্রয়োজনে এদেশের মানুষ বুকের তাজা রক্ত দেবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে মন্ত্রীর ধর্মদ্রোহী বক্তব্যের জন্য ফাঁসির দাবি জানান হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
মাওলানা আব্দুল কালামের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের, হেফাজতের ঢাকা মহানগর যুগ্ম-মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী,বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
/সিএ/এমএনএইচ/