X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় যাননি বিএনপির বেশিরভাগ নেতা

সালমান তারেক শাকিল
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ২৩:০৪আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ২৩:৫৭

 

 

বিএনপি বিএনপির ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় উপস্থিত হননি দলটির নতুন কমিটির বেশিরভাগ নেতাই। দলের স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অধিকাংশ সদস্যকেই দেখা যায়নি বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায়। এদিন আলোচনা সভার মঞ্চে বা দর্শক সারিতে দলটির প্রথম সারির বুদ্ধিজীবীদের কেউ-ই ছিলেন না।

বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, প্রথমত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকেন, এটি জেনেও বেশিরভাগ নেতাই আলোচনা সভা থেকে বিরত থেকেছেন। নতুন কমিটিকে কেন্দ্র করে মান-অভিমানের কারণেই আলোচনা সভায় অংশ নেননি তারা।

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আজকে হঠাৎ করেই বৃষ্টি ও তীব্র জ্যামের ফলে অনেকেই বিকালে বেরুতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেননি হয়তো। আর আলোচকরা উপস্থিত হয়েছেন।’ নিজের অনুপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থতার কারণে যেতে পারিনি। এটা মহাসচিবকে দুপুরেই জানিয়েছি।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, দলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,  স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, আ স ম হান্নান শাহ, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্য দেন।

মঞ্চের প্রথম সারিতে ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে আহমেদ আযম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, ডা. এজেড জাহিদ হোসেন, দুজন নতুন উপদেষ্টা ও যুগ্ম মহাসচিবদের মধ্যে খায়রুল কবির খোকন উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া প্রথম সারিতে স্বাভাবিকভাবে বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকরাও থাকলেও এবার চিত্র ছিল ভিন্ন। আলোচনা অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি বিএনপির সবচেয়ে বড় বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আফম ইউসূফ হায়দারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও শিক্ষককেই। দেখা যায়নি সমর্থক সাংবাদিক নেতাদেরও।

জানতে চাইলে এমাজউদ্দীন আহমেদ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্যই করবেন না বলে প্রতিবেদককে জানান।

স্থায়ী কমিটির মধ্যে তরিকুল ইসলাম, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, লে.জে অব মাহবুবুর রহমান, এমকে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিঞা, নজরুল ইসলাম খান দেশে থাকলেও তাদের আলোচনা সভায় দেখা যায়নি।

জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি তো অসুস্থ অনেকদিন ধরেই। হাঁটতে গেলেই গায়ে কাঁপুনি আসে। আর অন্যরা কেন যাননি, তা জানি না।’

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যানের সংখ্যা দলে ৩৫ হলেও মাত্র কয়েকজনই ছিলেন উপস্থিত। নিজের অনুপস্থিতির বিষয়ে ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হঠাৎ করেই আজকে পেটে ব্যথা শুরু হয়। কাল ডাক্তারের কাছে যাব।’

কিন্তু কেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আলোচনা সভায় দেখা যায়নি দলের অধিকাংশ নেতাকে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির নেতারা কেন আসেননি, এটা বড় কথা নয়। বড় কথা হচ্ছে, দেশে  গণতন্ত্র নেই।’

ভাইস চেয়ারম্যান হারুন আল রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি তো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আছি। পারিবারিক কাজের কারণে যেতে পারিনি।’

/এমএনএইচ/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মে দিবসে রাজপথে স্লোগানমুখর শ্রমজীবীরা
মে দিবসে রাজপথে স্লোগানমুখর শ্রমজীবীরা
একাধিক রুশ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
একাধিক রুশ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!
আফগানদের বিশ্বকাপ দলে ৬ অলরাউন্ডার 
আফগানদের বিশ্বকাপ দলে ৬ অলরাউন্ডার 
সর্বাধিক পঠিত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
এক ফ্রেমে এত ‘সুন্দরী’, স্মৃতিকাতর সকলেই!
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি