নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বঙ্গভবন থেকে বের হয়েছে বিএনপির প্রতিনিধি দল। রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বৈঠক শেষে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বঙ্গভবন থেকে বের হন। এর আগে বিকেল ৪ টা ২৬ মিনিটে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এগারো সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বঙ্গভবনে প্রবেশ করে। বিএনপির প্রতিনিধি দলকে বঙ্গভবনে অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম।
বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রতিনিধি দলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রয়েছেন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার ও ব্যক্তিগত সহকারী শামসুর রাহমান শিমুল বিশ্বাস। এছাড়া ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার নুর উদ্দিন আহমদ বঙ্গভবনে ঢুকতে পারেননি।
এর আগে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ৭ সদস্য বঙ্গভবনের গেটে পৌঁছে অপেক্ষা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর বিএনপিসহ ৫টি রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন কমিশন গঠন ইস্যুতে আলোচনার জন্য বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হচ্ছে ১৮ ডিসেম্বর রবিবার। এছাড়া ২০ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টি, ২১ ডিসেম্বর এলডিপি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও ২২ ডিসেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) (ইনু) সঙ্গে আলোচনায় বসবেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইসি গঠনের প্রস্তাব দেন খালেদা জিয়া। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে রকিব কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় নতুন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন তিনি। প্রস্তাবে খালেদা জিয়া নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, কাদের নিয়ে গঠিত হবে, বাছাই কমিটি, বাছাই কমিটির কাঠামো, নির্বাচন কমিশন শক্তিশালীকরণে দলের বিস্তারিত সুপারিশ তুলে ধরেন। এরপর এই প্রস্তাব নিয়ে জোর তৎপরতা চালায় বিএনপি। গত ৫ ডিসেম্বর বিএনপির সিদ্ধান্ত ছিল, এক সপ্তাহের মধ্যে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতির সম্মতি না পেলে বিকল্প পথে প্রস্তাব পৌঁছে দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী দলের ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আমিন চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বঙ্গভবনে প্রস্তাব দিয়ে আসেন গত সপ্তাহে। এর আগে গত ২০ নভেম্বর খালেদা জিয়ার প্রস্তাব জানাতে রাষ্ট্রপতির একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারকে ফোন করে সময় চেয়েছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর ২৩ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব পাঠানোর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সময় চাওয়া হবে।’এ দিনই বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল মহাসচিবের স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বঙ্গভবনে পৌঁছে দেন।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি চাইলেই সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশনারদের নাম দেবে বিএনপি
/এসটিএস/এসএনএইচ/এমএনএইচ/