ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের কমিটিতে ক্লিন ইমেজধারীদের আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সিটি নির্বাচনে অংশ নেবে এবং তাতে জয়ী হতে চায়। এরজন্য সম্মেলনের মাধ্যমে দুই সিটিতে ক্লিন ইমেজের লিডারশিপ আনা হয়েছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
এবার প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখ দেখার সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা আমরা ভাবনা-চিন্তা করছি। আমাদের মনোনয়ন বোর্ড যখন বসবে তখনই শিডিউল ঘোষণা করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মনোনয়ন বোর্ডেই প্রার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
নির্বাচন কমিশন যখন চাইবে তখনই ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা নির্বাচন করতে চাই বলেই আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে ক্লিন ইমেজের নেতা দেওয়া হয়েছে।
আগামীতেও দলের সাধারণ সম্পাদক পদে থাকছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। আমাদের সভাপতি যেটা ভালো মনে করবেন, কাউন্সিলরদের মাইন্ডসেট তিনি ভালো করেই জানেন। আমাদের কাউন্সিলররাও সবসময় নেত্রীর ওপর আস্থা রাখেন।
শুদ্ধি অভিযান নিয়ে এক প্রশ্নে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিভিন্ন জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে সময়মতো দেখবেন।
এরআগে, ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কিছু প্রকল্প আছে। সেগুলোর কাজ এগিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ তিনি করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এনআরসি নিয়ে তারা বারবার বলে আসছে উদ্বিগ্ন হবার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি, ঘটবে না। ভারত সরকার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছে, সুতরাং এ নিয়ে আমরা আর প্রশ্ন করে বিব্রত করতে চাই না।
‘আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ভালো, চমৎকার পর্যায়ে আছে। কাজেই যেকোনও সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারবো। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনেক উচ্চতায়, এসময়ে আমাদের মধ্যে কোনও টানাপোড়েন নেই। যে কারণে কোনও কিছু বৈরিতার সৃষ্টি করে না,’ যোগ করেন তিনি।