মেগা প্রজেক্টের নামে দেশে লুটপাটের রাজনীতি চলছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কথা বলা বন্ধ করে দিতে পারে, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জেলে ভরতে পারে; কিন্তু যারা জিনিসের দাম বাড়ায় তাদের কিছু করতে পারে না।’
শনিবার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লেবার পার্টির উদ্যোগে চাল, পেঁয়াজ, আলুসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে বলেছিল—ক্ষমতায় গেলে ১০ টাকা কেজিতে চাল খাওয়াবে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমবে। আজ এক এক করে ১২ বছর তারা ক্ষমতায় আছে। যে চাল ১০ টাকা কেজি খাওয়ানোর কথা, সেটা এখন ৬০ টাকা কেজি। কিন্তু সরকার এতে অনুতপ্ত নয়। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের অন্য মন্ত্রীদের কেউ কোনও জায়গায় বলেননি—“আমরা পারছি না, চালের দাম বেড়ে গেছে, আপনাদের কষ্ট হচ্ছে।”’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘পেঁয়াজসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় জনগণের যে কষ্ট হচ্ছে সেটা তারা বলেনি। অথচ ১৫-২০ দিন পর পর পদ্মা সেতুতে স্প্যান বসিয়ে তারা তাক লাগিয়ে দিতে চায় যে, উন্নয়ন করছে। যে উন্নয়নে মানুষ না খেয়ে থাকে, মানুষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দেয়; সেটা কোনও উন্নয়ন নয়। উন্নয়নের অর্থ হচ্ছে সর্বস্তরের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান নিশ্চিত করা। এই সরকার সেটা মনে করে না।’
তিনি বলেন, ‘মেগা প্রজেক্টের নামে লুটপাটের রাজনীতি চলছে, এটা আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি। জিনিসের দাম বাড়ার পেছনে যুক্তি কি? সরকার কোনও যুক্তি দিতে পারেনি।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘আপনি অসুখে মরবেন, ক্ষুধায় মরবেন; তারপরও জিনিসের দাম কমাবে না। সিন্ডিকেটকে তারা ধরতেও পারবে না, জিনিসের দামও কমবে না।’
সংগঠনের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, লেবার পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুব মিশনের সভাপতি মহিবুল্লাহ মেহেদি, ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ মিলন প্রমুখ।