বিশেষ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সরাসরি বাড়ানো বা কমানোর ক্ষমতা সরকারের নিজের কাছে নিতে সংসদে বিল পাসের প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেছেন গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। এই বিল পাস হলে আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে বলে তিনি অভিযোগ করেন। রবিবার (২৯ জানুয়ারি) ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন), বিল জাতীয় সংদে পাস হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের অন্যান্য বিধানে যা কিছু থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে ভর্তুকি সমন্বয়ের জন্য জনস্বার্থে কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালি কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে, এসবের উৎপাদন বৃদ্ধি, সঞ্চালন, পরিবহন ও বিপণনের নিমিত্ত দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদন, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করতে পারবে।
এর আগে মোকাব্বির খান বিলটি জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। এর পক্ষে তিনি বক্তব্য রাখেন এবং বক্তব্যে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের রক্ষার জন্য ইনডেমিনিটি (দায় মুক্তি) দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ওয়াক আউটের তিনি বলেন, ‘এই বিলটি যেহেতু বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতমিন্ত্রী প্রত্যাহার করেন নাই, তাই আমি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম, আমি ওয়াক আউট করলাম।’
তিনি বিলে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতিবাজ মুনাফাখোরদের সুরক্ষা দিতে এবং আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানের জন্য জনস্বার্থবিরোধী এই বিলটি পাসের অভিযোগ তোলেন। একইসঙ্গে এর প্রতিবাদে নিজের উত্থাপিত সংশোধনীগুলো প্রত্যাহার করে নেন। তিনি বলেন, ‘চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। বঙ্গবন্ধু প্রায়ই সে কথা বলতেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সুরক্ষা দিতে একবার ইনমেনিটি দেওয়া হয়েছিল। আজ দুর্নীতিবাজদের, মুনাফাখোরদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ইনডেমনিটিসহ বিলটি আনা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির দাম আরও বাড়বে।’ এরআগে জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব তুলে মুকাব্বির খান বলেন, ‘বিদ্যুতের কালো আইন তুলে দিয়ে দেখেন দুর্নীতিবাজরা কোথায় পালায়? বিদ্যুতের কালো আইন হলো— ওদের কর্মকান্ডিকে দেওয়া ইনডেমনিটি। আশা করি, তিনি এটা প্রত্যাহার করে নেবেন।’