২৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ‘গণতন্ত্র যাত্রা’ করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। দেশের কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত চলবে তাদের এ যাত্রা। এছাড়া আগামী ১৮ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশও করবে তারা।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বারবার গ্যাস, বিদ্যুৎ, চালসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, পাচারের টাকা ফেরত আনা, দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবিতে পুরানা পল্টন মোড়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এসময় তদের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংক্ষিপ্ত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন।
সভাপতির বক্তব্যে রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘আমরা দেখছি—প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। কিন্তু কমছে সরকারের ভাবমূর্তির মূল্য। এই সরকার একদিকে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, আরেকদিকে মুক্তবাজার লুটপাটের প্রশ্রয়দাতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের যেকোনও জিনিসের দাম বাড়াবার আগে অথবা দাম নির্ধারণ করার আগে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কাছে প্রস্তাব দেওয়ার কথা। সেখানে গণশুনানি হতো। কিন্তু সরকার জানায়—এখন থেকে কোনও গণশুনানি হবে না, সরকারের নির্দেশেই বিদ্যুতের দাম বাড়বে। সরকার প্রতারণা বাদ দিয়ে এখন নিজেদের সত্যিকারের লুটপাটের মুখোশ উন্মোচন করেছে। আমাদের প্রতিবাদ এখন শক্তিশালী করা দরকার।’
বাসদ-এর কেন্দ্রীয় নেতা খালেকুজ্জামানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহীন রহমান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ মার্কসবাদীর সমন্বয়ক মাসুদ রানাসহ জোটের অন্য নেতারা।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তারা পুরানা পল্টন মোড় থেকে মিছিল শুরু বিজয়নগর গিয়ে শেষ করেন।