আসন্ন অর্থবছরের (২০২৩-২৪) বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তিনটি প্রস্তাবনা দিয়েছে জাকের পার্টি। দলটির প্রস্তাবনা হচ্ছে— সুস্পষ্ট মুদ্রানীতির প্রয়োগে ব্যাংকের প্রকৃত সুদের হার ৩ শতাংশ বৃদ্ধির আহ্বান, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মজুতদারদের সিন্ডিকেটগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি। প্রতি বছর টাকার মূল্য ও ক্রয় ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ভূমি (ল্যান্ড) বা স্বর্ণ খাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগ করার সুযোগ দিতে হবে।
শনিবার (২৭ মে) রাজধানীর বনানীতে জাকের পার্টির কার্যালয়ে প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরেন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ ড. সায়েম আমীর ফয়সল। এ সময় দলের মহাসচিব শামীম পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।
বাজেটে সুষম বণ্টন ও গুণগত ব্যয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক অঙ্গরাজ্য গঠনের প্রস্তাব করে জাকের পার্টি। ড. সায়েম আমীর ফয়সল বলেন, ‘এবার প্রস্তাবিত বাজোটের আকার ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। ৬৪ জেলা দিয়ে যদি এ অঙ্ক ভাগ করা হয়, তাহলে প্রতি জেলা গড়ে পায় ১০ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশের একটি জেলার জনসংখ্যা একটি ইউরোপিয়ান দেশের সমান। এত জনবহুল দেশে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ যদি না হয়, তাহলে জনসাধারণকে মূল অর্থনৈতিক স্রোতধারায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে না। এজন্য জেলা পর্যায়ে সরকার প্রয়োজন।’
‘সিন্ডিকেট-মুক্ত কৃষি খাত তৈরি, দেশে যাতে খাদ্য সংকট তৈরি হতে না পারে, সে জন্য ২ বছরের খাদ্য মজুত করা, কৃষকের উৎপাদিত শস্য ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, সুষম কৃষির অগ্রগতিতে ভর্তুকি নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেন সায়েম আমীর।