গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভোটের অধিকারের কোনও সম্ভাবনা নেই। এই সরকারের অধীনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। কারণ, তারা জানে ভোট দিতে পারবে না। আমাদের একটাই কথা—এই সরকার বদলাতেই হবে। এবার আমরা এক দফার আন্দোলনে নেমেছি। এক দফা জনতার মুক্তির সনদ। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকালে গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মিরপুরের ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা। পদযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘এই লড়াই বাঁচার লড়াই। এই লড়াইয়ে জিততে হবে। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করতে চাই। কিন্তু বাধা দিলে বাঁধবে লড়াই। সেই লড়াইয়ের দায়-দায়িত্ব আমাদের নয়।’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে নিন্দা জানিয়ে আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। কারণ, তারা জানে ভোট দিতে পারবে না। এই সরকারের পতন না ঘটিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া যাবে না। হিরো আলমের অবস্থা দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কেমন।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সারা দেশে শান্তি সমাবেশের নামে তারা অশান্তি তৈরি করছে। আমাদের একটাই কথা—এই সরকার বদলাতেই হবে। মানুষের অধিকার, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য—আমাদের এক দফার সংগ্রাম মানে সরকারের পতন ও সুষ্ঠু নির্বাচন।’
পদযাত্রায় অংশ নেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে সাইফুল হক বলেন, ‘বিরোধী দলহীন ঢাকা- ১৭ আসনের উপনির্বাচনেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরাজয় ঘটেছে। হিরো আলমের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগকে কারচুপি ও সন্ত্রাসের আশ্রয় নিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের অধীনে জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে, গতকাল ঢাকার উপ নির্বাচনেও তা প্রমাণ হয়েছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভোটের অধিকারের কোনও সম্ভাবনা নেই। এমন ভোট আয়োজন করবে, এমনভাবে ফন্দি-ফিকির করে রেখেছে, ভোট চুরি করে আবার আমাদের বলবে—এই যে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। ওনারা চুরি করবেন, কেউ প্রতিবাদ করতে পারবে না। এবার আমরা এক দফার আন্দোলনে নেমেছি। এক দফা জনতার মুক্তির সনদ। এক দফার আন্দোলনকে সফল করে, এদের ক্ষমতা থেকে নামিয়ে জনগণের রাষ্ট্র, জনগণের ভোটের অধিকার অর্জন করতে হবে। এই লড়াইয়ে পরাজয়ের কোনও স্থান নেই।’
ঢাকা-১৭ আসনের ভোট প্রসঙ্গে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন হিরো আলমের সঙ্গে যা যা হয়েছে, এসব কিছু থেকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা প্রকাশিত। পুলিশ কমিশনার বলেছিলেন—ভোট সুষ্ঠু না হলে তিনি নাকে খত দিয়ে চলে যাবেন। এই নাকে খত আমরা কবে দেখবো? মানুষ ফেসবুকে লিখেছে—পুলিশ কমিশনারের নাকে খত আমরা দেখতে চাই।’
আরও বক্তব্য রাখেন মঞ্চের সমন্বয়ক সাইফুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।