সরকার দেশে উন্নয়নের কথা বলেন, কিন্তু সঠিক নির্বাচন আয়োজনে ভয় পান কেন? এমন প্রশ্ন করেছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশকে মানুষের দেশ বলা যায় না। দেশের যেদিকে তাকাই, সেদিকেই সমস্যা। যারা দিনের ভোট রাতে করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকে, তারা মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করছে না।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ চত্বরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আগামী ৩ নভেম্বর (শুক্রবার) ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন চরমোনাই পীর।
তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, ‘দিল্লি আছে তো আমরা আছি।’ তার দেওয়া বক্তব্যে প্রশ্ন আসে, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকার করেন কি না।
এ ছাড়া তিনি চলতি সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনপদ্ধতির প্রবর্তন ও নির্বাচন কমিশন বাতিলের দাবিতে আগামী ২৭ অক্টোবর (শুক্রবার) সারা দেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দেন।
দলটির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ৩ নভেম্বর বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ। তারা ক্ষমতায় থাকতে নানা ছলচাতুরি করে যাচ্ছে। সংবিধান দেশের জনগণের জন্য। আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখার জন্য নয়। আওয়ামী লীগের যারা ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেন, তাদের কথায় মনে হয় দেশ তাদের। কিন্তু এই দেশ পীর-আউলিয়ার। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সন্ত্রাসী ছাড়া কোনও জনগন নেই।
সিনিয়র নায়েবে আমিরর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ভোটের ও ন্যায্য অধিকার আদায় করে মানসম্মান ও ইজ্জত রক্ষায় সমাবেশে উপস্থিত হয়েছি। ’১৪ সালের নির্বাচন প্রহসনের নির্বাচন ছিল। ’১৮-এর নির্বাচন ডাকাতের নির্বাচন ছিল। উন্নয়নের নামে তারা মেগা চুরি, ডাকাতি ও খুন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ময়দানে নামতে হবে। আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হবে না। আগামী নির্বাচন প্রহসনের হতে দেবো না। দিল্লির গোলামি আমরা মানবো না।