বিএনপি, জামাত ও নামধারী কিছু ইসলামি দল ইহুদিদের দালাল উল্লেখ করে লিবারেল ইসলামিক জোট ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, দালালি করার কারণে তারা ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিষয়ে নিশ্চুপ। অথচ তারা ধর্মপ্রাণ মুসলমানের আবেগ-অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে রেখেছে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যা, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে লিবারেল ইসলামিক জোটের উদ্যোগে এ সমাবেশ করা হয়।
বিএনপি, জামায়াতের সমালোচনা করে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘তারা মানুষকে কুরআনের কথা বলে ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে। আজ জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে, ক্ষমতার লোভে তারা ইহুদিদের দালালি করছে। জনগণকে তাদের বয়কট করতে হবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারাকে প্রতিষ্ঠিত রাখতে হলে যথা সময়ে নির্বাচনের বিকল্প নেই। তবে সে নির্বাচন হতে হবে অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য। অসাংবিধানিক পুতুল বা আজ্ঞাবহ সরকার দেশবাসী দেখতে চায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের টাকা পাচারকারী দুর্নীতিবাজ ও বাজার সিন্ডিকেটকারীদের তালিকা করে অবিলম্বে জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে। তাদের আইনের আওতায় না আনলে লিবারেল ইসলামিক জোট তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামবে।’ তিনি জোটের নেতাকর্মীদের টাকা পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ ও বাজার সিন্ডিকেটকারীদের তালিকা করার নির্দেশ দেন।
সমাবেশে লিবারেল ইসলামিক জোটের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি জামায়াতের ধোঁকাবাজি মানুষ বুঝে গেছে। এ দেশের মানুষ মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী জঙ্গি, আগুন সন্ত্রাসীদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সরকারে যেমন উন্নয়নের সফলতা রয়েছে অন্যদিকে বাজার সিন্ডিকেটকারীদের দমনে ব্যর্থতা রয়েছে।’
সমাবেশে আরও ছিলেন– ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা মনিরুজ্জামান রাব্বানী, আশেক্বীনে আউলিয়া ঐক্য পারিষদের মহাসচিব মাওলানা হানিফ নূরী, বিএসপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ঢালী কামরুজ্জামান হারুন প্রমুখ।