আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানায় এবি পার্টি। আমরা বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগ আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে নতুন অর্থনৈতিক উচ্চতায় নিয়ে যাবে; যদি তা হয় দূরদর্শী, স্বচ্ছ এবং দেশপ্রেমের ভিত্তিতে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা ১২টায় রাজধানীর বিজয়নগরের কেন্দ্রীয় অফিসে ‘চট্টগ্রাম বন্দর ও মানবিক করিডর’ বিষয়ে সংবাদ সম্মলেনে তিনি এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে ডান, বাম ও ইসলামি দলগুলো প্রতিবাদ করলেও এবি পার্টি ভিন্ন অবস্থান দেখালো।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘অতীতের মতো পেছনের দরজার চুক্তি নয়, বরং জনস্বার্থ ও তথ্য-উন্মুক্তির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হলে এই বন্দর হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার পরবর্তী সিঙ্গাপুরের ভিত্তিপ্রস্তর।’
এবি পার্টির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ যেন কোনও পরাশক্তির ছায়া-যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত না হয়, সেটা সবাইকে বিবেচনায় নিতে হবে। ১৫ লখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবর্তনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঐকমত্য জরুরি।’
বন্দর ও মানবিক করিডর প্রসঙ্গে দলের অবস্থান তুলে ধরে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, ‘বিদেশি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান মানেই জাতীয় স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে– এমন নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণযোগ্য নয়। সঠিক চুক্তি, স্পষ্ট জবাবদিহি, কার্যকর তদারকি এবং জাতীয় স্বার্থের নিশ্চয়তা থাকলে এমন ব্যবস্থাপনা বরং উন্নয়নের গতিকে তরান্বিত করে। আমরা চাই, চট্টগ্রাম বন্দর যেন দক্ষ ব্যবস্থাপনার ছোঁয়ায় একটি আন্তর্জাতিক লজিস্টিক হাবে পরিণত হয়, যেখানে থাকবে সময়ের গুরুত্ব, পরিবেশ ও প্রযুক্তির ব্যবহার, স্বচ্ছতা ও সর্বোপরি জবাবদিহি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পোশাক শিল্প ও হোটেল ব্যবস্থাপনাকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করতে পারি। বাংলাদেশের যেসব হোটেল আন্তর্জাতিক ফাইভ স্টার বা তারও ওপরের মান ধরে রেখেছে, তাদের অধিকাংশই আন্তর্জাতিক হোটেল চেইনের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু এতে কি জাতীয় নিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? মোটেও নয়। বরং বিশ্বমানের ব্যবস্থাপনা থাকলে আমাদের পর্যটন, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন– এবি পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, আলতাফ হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ নোমান ও ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স।