জুলাই গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচন এই তিন দাবি নিয়ে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে জাতীয় সরকার গঠনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি।
শনিবার (২৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে দেশের চলমান সংকট মোকাবিলায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল নিয়ে এই জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানান শরিফ ওসমান হাদি।
তিনি বলেন, বিএনপি অসহযোগিতা করলে তাদের জাতির কাছে জবাবদিহি করতে হবে। জামায়াত অসহযোগিতা করলে জবাবদিহি করতে হবে তাদেরও। এই সরকারের মেয়াদ হবে অন্তত ১০ মাস থেকে এক বছর। যদি জাতীয় সরকার না করতে পারেন তাহলে জাতীয় ঐক্য কাউন্সিল গড়ে তোলেন। জাতীয় ঐক্য কাউন্সিল প্রধান হবেন ড. মোহাম্মদ ইউনূস। সব রাজনৈতিক দল থেকে সেখানে প্রতিনিধি থাকবে সদস্য হিসেবে। তাদের সাংবিধানিক মর্যাদা হবে ক্যাবিনেট মন্ত্রী পরিষদের মতো। তারা মন্ত্রী হবেন না, উপদেষ্টা হবেন না কিন্তু ওয়াচডগ হিসেবে কাজ করবেন। তারা প্রত্যেক বিষয়ে কথা করতে পারবেন।
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত জুলাই ঘোষণাপত্রের কার্যক্রম না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে কোনও লাভ নেই। যদি জুলাই ঘোষণাপত্র না আসে, যারা জুলাইয়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন দিল্লির সঙ্গে মিলে আওয়ামী লীগ তাদের কচুকাটা করবে। জুলাই ঘোষণাপত্র সাংবিধানিক স্বীকৃতি পেলেই আওয়ামী কার্যক্রম নিষিদ্ধ হবে।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয় নিয়ে হাদি বলেন, আপনার কোনও ইখতিয়ার নাই পদত্যাগ করার। আপনাকে আমরা ক্ষমতায় বসিয়েছি। আপনি পদত্যাগ করে দেশের বাইরে চলে গেলে জুলাই যোদ্ধাদের কী হবে? যদি পদত্যাগ করতে চান, জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে।