জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে এখনও ফ্যাসিবাদী উপাদানের সরব উপস্থিতি রয়েছে। এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারের। কারণ সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের তৃতীয় দিনের সংলাপের সমাপনীতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা কথা জানান।
হাসনাত বলেন, গত দেড় দশকে যারা ফ্যাসিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, রাষ্ট্র কাঠামোর বিভিন্ন জায়গায় তাদের অনেকের অংশীদারত্ব দেখা যাচ্ছে। তারা আবারও সক্রিয় হচ্ছে। আমরা মনে করি, এটি সরকারের ব্যর্থতা। শুরুতেই এটা করা উচিত ছিল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুইবারের বেশি হলে ক্ষমতা এককেন্দ্রিক হয় এবং ফ্যাসিবাদের দিকে যায়। এক ব্যক্তি বারবার প্রধানমন্ত্রী হলে অন্যান্য সংস্থাগুলোও এককেন্দ্রিক হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র থাকে না। বিগত দিনে যারা ক্ষমতায় ছিল বা যারা আসার সম্ভাবনা রয়েছে, তারা নির্দিষ্ট পরিবারের বাইরে এই দলকে নেতৃত্ব দেওয়ায় সম্ভাব্য গণতান্ত্রিক অপশন আমাদের নেই। এটি গণতন্ত্রের জন্য বেশি ইতিবাচক নয়। আবার আমাদের সংসদের ৭০ অনুচ্ছেদে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি পর্যায়ে এসেছে। তাও সেখানে অনাস্থা ভোটের কোনও সুযোগ রাখা হয়নি।
এনসিপির এই নেতা বলেন, অতীতের বিদ্যমান ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় আজকে আমাদের নতুন ফরম্যাটে বসতে হচ্ছে। অতীতে এসব ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ না হলে আমাদের অভ্যুত্থানও হতো না। আর ঐকমত্য কমিশনেরও প্রয়োজন হতো না। পার্লামেন্টে উচ্চ কক্ষ থাকবে কী, থাকবে না। এটি নিয়ে আলোচনা কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রস্তাবনা অনুযায়ী উচ্চ কক্ষে থাকবে ১০০ সদস্য। তারা কীভাবে নির্বাচিত হবেন সেটি নিয়েও কথা হয়েছে। আমরা বলেছি নিম্ন কক্ষের আসনের আনুপাতিক ভোটের ভিত্তিতেই উচ্চ কক্ষের আসন নির্ধারণ করা হবে। পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নিয়ে কথা হয়েছে। শুক্রবারও আলোচনা হবে।