নির্বাচন নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আপনারা জানেন এখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংস্কারের একটি কার্যক্রম চলছে এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির কাছে কমিটমেন্ট দিয়েছেন—ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই সনদ হবে। ফলে আমাদের কাছে এখনও প্রধান অগ্রাধিকার সংস্কার। সংস্কারের ওপর নির্ভর করেই নির্বাচনের বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। এনসিপি বলেছে, জুলাই ঘোষণাপত্র, সংস্কার, গণপরিষদ ও বিচারের রোডম্যাপ নিয়েই আমাদের এই মুহূর্তের রাজনীতি।
রবিবার (২২ জুলাই) নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধন সম্পর্কিত তথ্য জমা দেওয়া শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনে এনসিপির পক্ষ থেকে দল নিবন্ধনের জন্য যেসব কাগজপত্র এবং আবেদন লাগে—সেসব শর্তাবলি পূরণ করে কাগজপত্র দাখিল করেছি। ১০৫টি উপজেলা, ২৫টি জেলা কমিটি হয়েছে এনসিপির। এছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় যে ২০০ সমর্থকের ফরম পূরণ করতে হয়, প্রতিটি জেলে উপজেলায় অফিস নিতে হয়—সেসব কাগজসহ আমাদের গঠনতন্ত্র আমরা জমা দিয়েছি। আমরা আশাবাদী খুব দ্রুতই এনসিপি নিবন্ধন পাবে। নিবন্ধিত দল হিসেবে জনগণের কাছে যাবে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের দলের প্রতীক হিসেবে প্রথম পছন্দে রেখেছি শাপলা। এছাড়া কলম ও মোবাইল রেখেছি দ্বিতীয়-তৃতীয় পছন্দে। আমরা আশা করছি জনগণের মার্কা হিসেবে, গণঅভ্যুত্থানের মার্কা হিসেবে, গ্রাম বাংলার প্রতীক হিসেবে শাপলা জাতীয় নাগরিক পার্টি পাবে। এবং এই শাপলা মার্কা নিয়েই আমরা আগামী দিনে জনগণকে নিয়ে কাজ করবো। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।
নাহিদ বলেন, আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। সেখানে আমরা প্রবাসী ভোটাধিকারের বিষয়ে কথা বলেছি। আমরা জোর দাবি জানিয়েছি যাতে প্রবাসীদের ভোটাধিকার রক্ষা করা হয়। ইসি এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি—কীভাবে প্রবাসী ভোটাধিকার রক্ষা করা হবে। তবে বলেছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে এটা নিশ্চিত করা হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীককে কেন মার্কা হিসেবে চাইলেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের যে আইন সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করেছি। সেখানে দেখেছি ধরনের কোনও বাধা-নিষেধ নেই। জাতীয় ফল হিসেবে কাঁঠাল একটি দলের প্রতীক হিসেবে রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা কোনও সমস্যা দেখিনি বলেই আবেদন করেছি। আর জাতীয় প্রতীক কিন্তু কেবল শাপলা নয়। শাপলা, ধানের শিষ, তারকা... এগুলো মিলিয়েই কিন্তু জাতীয় প্রতীক হয়। সেক্ষেত্রে আপনারা দেখবেন ধানের শিষ এবং তারকা দুটি দলের প্রতীক হিসেবে রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা কোনও আইনগত সমস্যা দেখি না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।