দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত লাখো মানুষের খাবার, স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপদ আশ্রয়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটি বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহায়তা করার লক্ষে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সোমবার (৪ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ উদ্যোগের আওতায়, ইতোমধ্যে নেত্রকোনা, সিলেট ও সুনামগঞ্জে চারটি মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ক্যাম্পগুলোর মাধ্যমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ ও ওষুধ সরবরাহ কার হচ্ছে। ১০ দিনব্যাপী এ উদ্যোগটি গত মাসের ২৯ তারিখে শুরু হয়েছে, যা চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।
এ সময় ছয় হাজারেরও বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যেই টিমের প্রতিটি সদস্য এ অঞ্চলগুলোতে কাজ করছেন। গ্রামীণফোন ও বিডিআরসিএস’র যৌথ এ উদ্যোগের মাধ্যমে ইতোমধ্যে নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা, কলমাকান্দা, দক্ষিণ সুরমা, কানাইঘাট, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, বিশ্বম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাজার ১৭৩ জনকে চিকিৎসা সংক্রান্ত সেবা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতিতে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের মানুষ বিপন্ন অবস্থায় পড়েছেন। এ অবস্থায় মোবাইল কানেক্টিভিটি বন্যাদুর্গতের যোগাযোগের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামীফোন টিম রেগুলেটর, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহিনী ও নেটওয়ার্ক পার্টনারদের সঙ্গে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে নেটওয়ার্ক পুনস্থাপনের কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি জরুরি স্বাস্থ্যসেবা এবং খাদ্য সরবারহ নিয়ে আমরা বন্যাপীড়িতের পাশে আছি। আমাদের সার্বিক সহায়তায় দিচ্ছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।’
মেডিক্যাল ক্যাম্প ছাড়াও, খুব শিগগিরই ১৫ হাজার মানুষের মাঝে ১৫ হাজার ফুড রিলিফ প্যাক বিতরণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এর আগে, বন্যাদুর্গত এলাকায় মোবাইল সেবার মাধ্যমে জরুরি চাহিদা মেটাতে গ্রাহকদের ১০ মিনিট ফ্রি টক-টাইম দিয়েছে গ্রামীণফোন।
