নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ জ্বালানি উৎপাদনে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জলবায়ুবান্ধব প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে ব্যবসায়ীরা নীতিগত সহায়তা পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী।
রাজধানীর ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে (আইইউবি) জলবায়ু নিয়ে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের ভাইস-চেয়ারপারসন ওয়াসেকা আয়েশা খান। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিসিএডি) সম্প্রতি এ আয়োজন করে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ জ্বালানি উৎপাদনের সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের আওতায় আমারা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিগুলোকে সম্ভাবনায় পরিণত করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনে বাংলাদেশ মাত্র শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ অবদান রাখছে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা শূণ্যের কোঠায়। বাংলাদেশ এই ভূমিকায় বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে।’ সম্মেলনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার কথা বিশেষভাবে বলা হয়।
আয়েশা ওয়াসেকা খান বলেন, ‘সক্রিয় অগ্রগতির অধীনে ৩০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেসরকারি খাতের অর্থায়নে এবং আরও ৬৫টি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে।’
তিনি বলেন, ‘জ্বালানি উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রযুক্তি সম্পদে পরিণত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব প্রকল্পের উৎসাহে ভর্তুকি দেওয়া যেতে পারে।’
সম্মেলনে মুখ্য বক্তব্য উপস্থাপন করেন আইসিসিসিএডির পরিচালক অধ্যাপক সলিমুল হক, ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (আইইইই) সভাপতি অধ্যাপক সাইফুর রহমান, সোলশেয়ার প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্তিয়ান গ্রোহ্ এবং নাসার অনুদান বিজয়ী ওয়াহিদুল হাসান। এতে আহ্বায়ক ছিলেন আইইউবির প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি কাইয়ুম খান।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন আইইউবির চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার, উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসান, বিজ্ঞানী মোবারক আহমেদ খান, সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক করিম এবং এনভোলিড লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোরশেদুল বারী।
প্রায় ৪৪টি যুব সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব সম্মেলনের ‘ইয়ুথ এনগেজমেন্ট পার্টনার’ হিসেবে যোগ দেয়।