X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

কোহলির শ্রেষ্ঠত্বে মুশফিকদেরও ‘অবদান’ আছে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ মে ২০২০, ০৩:০৮আপডেট : ১৯ মে ২০২০, ০৩:২২

বিরাট কোহলি ও তামিম ইকবাল ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় তারকাকে নিয়ে ফেসবুক আড্ডায় বসেছিলেন বাংলাদেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। এই সময়ে রান তাড়ায় জাদুকরের মতো নিপুন ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। সোমবার ফেসবুকের আলাপচারিতায় অবিশ্বাস্য রান তাড়ার রহস্য জানাতে গিয়ে কোহলি বললেন মুশফিকের মতো উইকেটকিপারদের স্লেজিং তাকে ভীষণই উদ্ধুদ্ধ করে। সফল রান তাড়ার ব্যাপারে তার আত্মবিশ্বাস জন্মায় আসলে ছোটবেলায়, ভারতের হার দেখে।

রান তাড়া করে দলকে জেতাতে ক্রিকেট বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান কোহলি। রান তাড়া করতে গিয়ে ২৬টি সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি, দল জিতেছে ২২ বার। সাফল্যের হার প্রায় ৮৫ শতাংশ।  কোহলিকে তাই  তামিমের প্রশ্ন ছিল, সফল রান তাড়ার কঠিন কাজে কীভাবে এত পারদর্শী হয়ে উঠলেন?

জবাবের শুরুতে মজার ছলে নিজের মানসিক দৃঢ়তার কথাও বলেছেন ভারত অধিনায়ক, ‘খুব জটিল কিছু নয়। কখনও কখনও মুশফিকরাও উইকেটের পেছন থেকে সহায়তা করে। তারা উইকেটের পেছনে থেকে স্লেজিং করে, তাতে আমার মনোযোগ বেড়ে যায়। আমি আরও অনুপ্রাণিত হই।’

রান তাড়ার পরিসংখ্যানে শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং, স্টিভ ওয়াহ, ভিভ রিচার্ডস, মহেন্দ্র সিং ধোনি- কোহলির ধারেকাছেও এই গ্রেটদের কেউ নেই। ছোটবেলা থেকেই রান তাড়ার প্রতি বিশেষ ভালো লাগা ছিল। কীভাবে ভালো লাগাটা তৈরি হলো গল্পটা জানিয়েছেন, ‘আমি তরুণদের মাঝেমাঝে বলি, আত্মবিশ্বাস থাকাটা খুব জরুরি। নিজের প্রতি বিশ্বাস না থাকলে কিছু করা সম্ভব নয়। ছোটবেলায় টিভিতে খেলা দেখতাম। ভারত কোনও ম্যাচ রান তাড়া করে জিততে না পারলে আমি ভাবতাম, আমি থাকলে ম্যাচটি জেতাতে পারতাম। সত্যিই এমন স্বপ্ন দেখতাম আমি।’

কোহলির মতে, রান তাড়ার বিষয়টি উপভোগ করতে পারলে চাপ বলে কিছু থাকে না, ‘রানা তাড়া করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, জানা থাকে একজন ব্যাটসম্যানকে ক্রিজে নেমে আসলে কী করতে হবে। আমার কাছে এর চেয়ে পরিষ্কার পরিস্থিতি আর কিছু নেই। আমি রান তাড়ায় কখনও চাপ অনুভব করি না। আমি এটাকে সুযোগ মনে করি। আমার মনে হয়, এটা এমন এক পরিস্থিতি যেখানে আপনি জিতিয়ে অপরাজিত থেকে আসতে পারবেন। আমার মনে হয় চাপ না ভেবে, উপভোগ করতে পারলেই রান তাড়াতে সফল হওয়া সম্ভব।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি ম্যাচ উদহারণ হিসেবে টেনেছেন কোহলি, ’৩৭০-৩৮০ রানও লক্ষ্য হলে আমার কাছে ওটাকে অসম্ভব মনে হয় না। আমার মনে আছে ২০১২ সালে হোবার্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের খেলা ছিল, যে ম্যাচে আমাদের কোয়ালিফায়ারের জন্য ৩৪০-এর বেশি রান করতে হতো ৪০ ওভারে। তখন পরামর্শ করেছিলাম ম্যাচটিকে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ভেবে খেলতে হবে। ৪০ ওভারের কথা ভাবলে অনেক কঠিন মনে হয়, সেটা দেখারই দরকার নেই।’

শুরুতে স্থির থেকে ব্যাটিং করলেও কোহলি এখন সামনে-পেছনে গিয়ে খেলেন। মূলত সব শট খেলতেই তার এই ব্যাটিং কৌশল। তামিমের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘আসলে এটা আমার ব্যক্তিগত কৌশল। মাঠের সব জায়গায় খেলতেই আমি ব্যাটিংয়ের ধরন বদলে ফেলেছি। যদি আমার হিপ বেস্ট পজিশনে থাকে। তাহলে আমি আমার পা যেকোনো সময় আগে নিয়ে কিংবা পেছনে নিয়ে খেলতে পারবো। আর এটার কারণে আমি মাঠের সব জায়গায় খেলতে পারছি।‘

/আরআই/পিকে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
৩২ কুর্দি সদস্যকে হত্যার দাবি তুরস্কের
৩২ কুর্দি সদস্যকে হত্যার দাবি তুরস্কের
পিকআপ চাপায় র‌্যাব সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় চালক গ্রেফতার
পিকআপ চাপায় র‌্যাব সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় চালক গ্রেফতার
মোটরসাইকেলে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশের এসআই নিহত
মোটরসাইকেলে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশের এসআই নিহত
যে গল্পের জন্ম ওষুধের দোকান থেকে!
যে গল্পের জন্ম ওষুধের দোকান থেকে!
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ