X
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষে আসলামের আক্ষেপ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৩ আগস্ট ২০২০, ১৫:১৪আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২০, ১৫:১৪

 ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের লনে আসলাম, মুন্না ও রুমী, ছবি- আনন্দবাজার।  দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতের কলকাতায় মাঠ মাতিয়েছেন মোনেম মুন্না, শেখ মোহাম্মদ আসলাম ও রুমীরা। ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে এই ত্রয়ী ওপার বাংলার দর্শকদের মনেও জায়গা করে নিয়েছিলেন। সেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এখন শততম বর্ষে পা রেখেছে। একদিকে ক্লাবটি যেমন নানান শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছে। একই দিনে আবার আক্ষেপও ঝরেছে বাংলাদেশের সাবেক স্ট্রাইকার শেখ মোহাম্মদ আসলামের কণ্ঠে। স্মরণীয় দিনটিতে কলকাতার ক্লাব থেকে ফোন না পেয়ে অনেকটাই হতাশ তিনি।

১৯৯১ সালে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই ট্রফি জেতার পেছনে বাংলাদেশের ফুটবলারদের অবদান কম নয়। বাংলা ট্রিবিউনকে সেই সময়ের স্মৃতির ঝাঁপি খুলে আসলাম বলেছেন, ‘আমরা ৯১ সালে ইস্টবেঙ্গলকে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছিলাম। সেই ক্লাবের হয়ে কম পরিশ্রম করিনি। ক্লাব এখন শতবর্ষে পা দিয়েছে। অথচ এসব অনুষ্ঠানে তারা আমাদের জানানোরও প্রয়োজন বোধ করে না। হয়তো সেই সময়ের কর্মকর্তারা নেই, তাই কোনও ফোনও পাই না।’

ভারতের আরেক গণমাধ্যম আনন্দবাজারের কাছেও হতাশা লুকাননি আসলাম। সেখানেও তিনি বলেছেন, ‘ইস্টবেঙ্গল শতবর্ষে পা রাখলো। সেজন্য ক্লাবটিকে শুভেচ্ছা জানাই। ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠাতাদের প্রতি আমার দারুণ শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু একটা ব্যাপার খুব খারাপ লাগে। সেই যে ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে চলে এসেছি, তার পর থেকে ক্লাবের সঙ্গে আর সে ভাবে কোনও যোগাযোগ-ই নেই। এ সব অনুষ্ঠানে একটা ফোন-ও তো করা যেতে পারে। ক্লাব ছাড়ার পরে কোনও অনুষ্ঠানেই ওরা আর ডাকে না। অথচ এই ক্লাবের হয়েই তো ঘাম-রক্ত ঝরিয়েছি। আমি তো আশা করতেই পারি যে, আমার ভালোবাসার ক্লাবের থেকে ডাক পাবো।’

আসলাম ইস্টবেঙ্গলে থাকার সময় জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন। সেই ম্যাচে ফ্লাইং হেডে গোল করেছিলেন। একই সঙ্গে আবার জর্জের গোলকিপার তার থুতনিতে হাঁটু দিয়ে আঘাতও করেছিল। সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন আসলাম। মাঠ থেকেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেই সময়ে ‘গোলমেশিন’ বলে পরিচিত আসলাম ওই ম্যাচের স্মৃতি নিয়ে বলেছেন, ‘জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে গোল করে ফেলার পরে ওদের গোলকিপার আমাকে এমন মারলো যে, আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম, রক্তারক্তি কাণ্ড। আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসব স্মৃতি হাতড়ালে খুব খারাপ লাগে। যে ক্লাবের জন্য জীবন সংশয় হতে পারতো, সেই ক্লাবের কাছ থেকেই আর কোনও ডাক পাই না। পরিবারের কাছ থেকেও গঞ্জনা শুনতে হয়। অনেকেই বলেন, তোমরা যে ক্লাবের হয়ে খেললে, সেই ক্লাব থেকে ডাক পাও না কেন? উত্তর দিতে পারি না।’

/টিএ/এফআইআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আইজিপি’র সঙ্গে ইউনেস্কো প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
আইজিপি’র সঙ্গে ইউনেস্কো প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে এনসিসি ব্যাংক
পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে এনসিসি ব্যাংক
কঠোর নিরাপত্তায় কাশ্মীরে অমরণাথ তীর্থযাত্রা শুরু
কঠোর নিরাপত্তায় কাশ্মীরে অমরণাথ তীর্থযাত্রা শুরু
আরও ৮ জনের করোনা শনাক্ত
আরও ৮ জনের করোনা শনাক্ত
সর্বাধিক পঠিত
নবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
সংযুক্ত কর্মচারী প‌রিষ‌দের জরু‌রি সভানবম পে-কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরুর আশ্বাস অর্থ উপদেষ্টার
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
অনুদান কমিটি থেকে অভিনেত্রীর অব্যাহতি!
অনুদান কমিটি থেকে অভিনেত্রীর অব্যাহতি!
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
‘দেশের ৩২টি বিমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে’
‘দেশের ৩২টি বিমা কোম্পানি উচ্চ ঝুঁকিতে’