প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও আলো ছড়িয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সফরকারী বাংলাদেশ এদিন দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ৫৪২ রান নিয়ে। কিউইদের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
চট্টগ্রামে কিউইদের বিপক্ষে আগের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল ৫০১ রান।ক্রিজে আছেন সাব্বির রহমান (১০)। যদিও দিনের শেষ বলে সাউদিকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ (০)।
এদিন অবশ্য রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েছেন সাকিব ও মুশফিক। তাদের সর্বোচ্চ ৩৫৯ রানের জুটিতেই প্রথম টেস্টে দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। এটি বাংলাদেশের যে কোনও উইকেটেও সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। এমনকি নিউজিল্যান্ডের মাটিতেও এ জুটির রেকর্ড সর্বোচ্চ। পঞ্চম উইকেটে কিউইদের মাটিতে আগের রেকর্ডটি ছিল ২৮১ রানের। ১৯৭৬ সালে জাভেদ মিঁয়াদাদ ও আসিফ ইকবাল করেছিলেন সেই জুটি। আউট হওয়ার আগে ২৬০ বল খেলে ১৫৯ রান করেন বাংলাদেশের টেস্ট ক্যাপ্টেন মুশফিকুর রহিম। এরমাঝে চারের মার ছিল ২৩ টি। একটা ছ’এর মার।
সাকিব এদিন যে রান করেছেন এটিও বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। ২১৭ রানে বিদায় নেন তিনি। তার ২৭৬ বলের ইনিংসে ছিল ৩১টি চার।
এর আগের সর্বোচ্চ ২০৬ রান ছিল তামিমের। কিন্তু সাকিব-মুশফিকের রেকর্ড জুটি বাংলাদেশকে চালকের আসনেই বসিয়েছে বাংলাদেশকে। সেখানে ইনজুরি থেকে ফেরা টেস্ট ক্যাপ্টেন মুশফিকের অবদানও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
অবশ্য এই জুটি ভাঙার আগে হুমকিই হয়ে দাঁড়াচ্ছিল কিউইদের সামনে। ৫ম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপকেও ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন দুজন। যদিও শেষ পর্যন্ত সেটি আর হয়নি। তবে দুজন বিদায় নেওয়ার আগে নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজে যে কোনও উইকেটে গড়েছেন সর্বোচ্চ রানের জুটি। এই জুটি পেছনে ফেলেছে মার্টিন গাপটিল ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ৩৩৯ রানের জুটিকে। ২০১০ সালে হ্যামিলটনে এই জুটি গড়েছিলেন দু’জন।
এর আগে বৃহস্পতিবার টেস্টের প্রথম দিনে বৃষ্টি বিঘ্নিত খেলায় বাংলাদেশের রান ছিল ১৬০/৩।
/এফআইআর/