ক্রিকেটের তৃণমূল পর্যায়ে প্রায় ৩ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। এছাড়া আপস-মীমাংসার মধ্যে দিয়ে তৈরি করা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার রাজস্ব নীতিকে মেনে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) বিরোধ অবসানের ইঙ্গিত মিলছে।
সমস্যা সমাধানের জন্য এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন এসিএ প্রধান অ্যালিস্টার নিকলসন, ‘রাজস্ব অর্জনের উপর নির্ভর করে আমরা সব পুরুষ, নারী, আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটারদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করেছি। প্রমাণ হচ্ছে যে ক্রিকেটের উন্নয়ন ও তরুণ প্রজন্মের কতটা সম্মান করে খেলোয়াড়রা। সমস্যা সমাধানেরও একটা ইঙ্গিত দিলাম আমরা।’
নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে দুই পক্ষ সমঝোতায় আসতে বৈঠকে বসছে আগামী রবিবার। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তা জেমস সাদারল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন এসিএ প্রধান নিকলসন। তবে দুই পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছালেও আগামী নভেম্বরের অ্যাশেজ সিরিজ শঙ্কার মুখে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী ২৩ নভেম্বর শুরু হওয়ার কথা ঐতিহাসিক এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ইমেইলের মাধ্যমে নিকলসন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের সতর্ক করে দিয়েছেন এ ব্যাপারে।
ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়ার চোখে পড়েছে নিকলসনের ইমেইল বার্তা, ‘যদি মতের মিল হয়, তারপরও পরবর্তী পদক্ষেপ অনুযায়ী সমঝোতা স্মারক হতে হবে আরও অনেক বেশি সংহতিপূর্ণ। অতীত অভিজ্ঞতা বলে এসবের বাস্তবায়ন বেশ সময়সাপেক্ষ। অস্ট্রেলিয়ার আগামী কয়েক মাসের সফর শুরুর আগে সেটা হয়তো সম্ভব হবে না।’
এসিএ’র এমন বক্তব্যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বিব্রত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য তারা করেনি।
উল্লেখ্য যে, নতুন বেতন কাঠামোয় রাজি না হওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে বেকার হয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের খেলোয়াড়সহ ২৩০ জন। এনিয়ে গত তিন সপ্তাহ ধরে বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসেছিল সিএ ও এসিএ। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও সমাধানের পথ খুঁজে পায়নি দুই পক্ষ।
গত দুই দশক ধরে চালু থাকা বেতন কাঠামোয় পরিবর্তন আনতে চেয়েছিল বোর্ড। যেখানে নির্দিষ্ট বেতনের বদলে বোর্ডের আয়ের ২৫ শতাংশ পেতেন খেলোয়াড়রা। কিন্তু নতুন নিয়মে সেই টাকার একটা অংশ চুক্তিবদ্ধ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মধ্যে ভাগ করে বাকিটা তৃণমূল পর্যায়ে ব্যয় করতে চেয়েছিল সিএ। দেশের বাকি খেলোয়াড়রা পাবেন নির্দিষ্ট বেতন। এ সিদ্ধান্তে আপত্তি জানায় এসিএ। তাদের দাবি শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটারদেরও দিতে হবে আগের মতো ভাগ।
নিজেদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবার তৃণমূল ক্রিকেটের উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা এগিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছে। ক্রিকইনফো, ওয়ান ইন্ডিয়া
/এফএইচএম/