প্রায় দেড় বছর আগেই ২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য সঠিক ‘কম্বিনেশন’ খুঁজতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং অর্ডারের তিন, চার ও পাঁচ নম্বর জায়গায় এখনই ব্যাটসম্যান নির্দিষ্ট করে দিতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
তিন নম্বর খুব গুরুত্বপূর্ণ হলেও এই জায়গায় অনেকদিন ধরেই একজন নির্দিষ্ট ব্যাটসম্যান খুঁজে চলেছে টাইগাররা। সাকিব-লিটন-ইমরুল-সৌম্য-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-মুমিনুল-সাব্বির কেউই ‘তিন নম্বর’ পরীক্ষা থেকে বাদ যাননি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের শেষ দুটি ওয়ানডে ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছিলেন লিটন, আর প্রথম ওয়ানডেতে ওই পজিশনে ছিলেন সাকিব।
বছরের শুরুতে তিন নম্বর পজিশনটি সাকিবকে দেওয়া হচ্ছে। মুশফিক বেশ কিছুদিন ধরে চার নম্বরে ব্যাটিং করছেন, আর এই পজিশনেই ব্যাটিং করবেন তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপে চার নম্বরে ব্যাটিং করে দুটি সেঞ্চুরি পাওয়া মাহমুদউল্লাহ নামবেন পাঁচ নম্বরে, আর ছয় নম্বরে সাব্বির।
রবিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘আমরা তিন নম্বরে ব্যাটিং করার জন্য কাউকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না এতদিন। আমরা চাই, এখানে কোনও সিনিয়র ক্রিকেটার খেলুক। এই পজিশনে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের খেলা উচিৎ। আমরা তিন নম্বরে সাকিবকে পছন্দ করেছি। সে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটার, পাশাপাশি পরিস্থিতি বিবেচনা করে খেলার মতো দক্ষ। আর পাঁচে আমরা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে খেলানোর চিন্তা-ভাবনা করছি।’
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়েকে নিয়ে সোমবার শুরু হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য সুজনের, ‘নতুন বছরে নতুন লড়াই আমাদের জন্য। ত্রিদেশীয় সিরিজে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’
অনেক দিন পর জাতীয় দলে ফেরা এনামুল হক বিজয় ও আবুল হাসানকে নিয়ে আশাবাদী জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সুজন, ‘ওরা দুজনই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেছে। বিজয় তো গত দুই-আড়াই বছর ধরে দারুণ খেলছে, সব ফরম্যাটেই ভালো ব্যাটিং করছে। পারফরম্যান্সই ওদের দলে নিয়ে এসেছে। আশা করি, সুযোগ পেলে ওরা নিজেদের উজাড় করে খেলবে।’
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ স্পিন নির্ভর হলেও দলের পেসারদের ওপরে যথেষ্ট আস্থা আছে টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের, ‘স্পিন আমাদের শক্তির জায়গা, তবে আমাদের পেস বোলাররাও ভালো। আমরা নিশ্চয়ই পাঁচজন স্পিনার নিয়ে খেলতে পারবো না। আমাদের পেস বোলিংয়ে বৈচিত্র্য আছে। অভিজ্ঞ মাশরাফি পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দেবে। পেস বোলারদের কাছ থেকে আমাদের অনেক প্রত্যাশা।’