সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশ অলরাউন্ডার মানজারুল ইসলাম রানার বাসায় গেলেন জিম্বাবুয়ের প্রধান কোচ ও সাবেক বাংলাদেশ কোচ ডেভ হোয়াটমোর। বৃহস্পতিবার দুপুরে রানার বাসায় তার মায়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
এর আগেও তিনি একবার খুলনায় তার প্রিয় শিষ্যর বাসায় গেছেন। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের পাশেই মোজগনি পাড়ায় মানজারুল ইসলাম রানাদের বাসা। দুপুর পৌঁনে একটার দিকে রানাদের বাসায় গিয়ে হঠাতই হাজির ডেভ হোয়াটমোর। সেখানে গিয়ে প্রয়াত ক্রিকেটার রানার মাকে সমবেদনা জানান তিনি। পরে রানার কবরের কাছে গিয়ে কিছুটা সময় নিরবে দাঁড়িয়েও থাকেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ। প্রায় ঘণ্টা খানেক রানাদের বাসায় অবস্থান করে হোটেলে ফেরেন এই অস্ট্রেলিয়ান।
বর্তমানে রানার বাসায় রানার মা জামিলা খাতুন একাই বসবাস করেন। কারণ রানার বড় ভাই মাজহারুল ইসলাম অস্ট্রেলিয়ায় এবং মেজ ভাই মাহফুজুল ইসলাম ঢাকায় থাকেন। 
২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ডেভ হোয়াটমোর। অস্ট্রেলিয়ান এই কোচ বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে ওয়ানডে এবং টেস্টে অভিষেক হয়েছিল খুলনার বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার মানজারুল ইসলাম রানার। তবে ক্রিকেট ক্যারিয়ারটা খুব বেশি দীর্ঘায়িত করতে পারেননি রানা। জাতীয় দলের হয়ে ২৫টি ওয়ানডে এবং ছয়টি টেস্ট খেলা এই ক্রিকেটার ২০০৭ সালের ১৬ই মার্চ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বালিয়াখালি ব্রিজের নিকট এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। সঙ্গে নিহত হন তার ক্লাব সতীর্থ সাজ্জাদুল হোসেন সেতু। দুর্ঘটনার সময় রানা নিজেই মোটরসাইকেল ড্রাইভ করছিলেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে গত বুধবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতায় সফরকারী দল অনেকটাই নির্ভার। তাই শেষ ম্যাচের আগের দিন জিম্বাবুয়ে দলের ছিল না কোনও নির্ধারিত অনুশীলন। ফলে এই সুযোগে রানাদের বাসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হোয়াটমোর।
/আরআই/এফআইআর/
