রান পাচ্ছেন না। চাপ বাড়ছে। তবে অধিনায়ক মুমিনুল হক ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। মুশফিকুর রহিমের ফর্মহীনতা নিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক জানিয়েছিলেন, কোনও দুশ্চিন্তা নেই তার। মুশফিক সত্যি রানে ফিরলেন। প্রয়োজনের সময় দাঁড়িয়ে গেলেন ব্যাট হাতে। আলো হয়ে পথ দেখাতে লাগলেন দলকে। কিন্তু হায়, এমন চমৎকার ইনিংসের সমাপ্তি ঘটলো কিনা অহেতুক-অপ্রয়োজনীয় শট খেলে! ভুল শট সিলেকশনে আরেকবার নিজেকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার।
খাদের কিনারায় থাকা বাংলাদেশ দলকে টেনে তুলে ভালো একটা অবস্থা নিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক। ইয়াসির আলী আউট হলেও পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনটা হতে যাচ্ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু লাঞ্চের আগে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ফলে প্রথম সেশনটা পুরোপুরি হলো না বাংলাদেশের। লাঞ্চ বিরতির আগে সফরকারীদের স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ২১০। প্রথম ইনিংসে ৪৫৩ রান করা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পিছিয়ে ২৪৩ রানে।
টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৫তম হাফসেঞ্চুরি পূরণ করা মুশফিকের ইনিংস ৫১ রানের। খেলেছেন ১২৬ বল। টেস্ট ইনিংস যেমন হওয়া উচিত, সব উপাদানই ছিল তার ইনিংসে। কিন্তু শেষটা যেভাবে হয়েছে, সেটি আবার মোটেও টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে যায় না। যে ব্যাটার পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে অসাধারণ ব্যাটিংয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছিলেন, সেই তিনি লাঞ্চের আগ মুহূর্তে রিভার্স সুইপের মতো শট কেন খেলতে যাবেন! সাইমন হার্মারের বলের অবস্থান না বুঝে ব্যাট ঘুরিয়ে ভুল শট নির্বাচন করে বোল্ড আউট হয়ে ফিরেছেন মুশফিক।
ম্যাচের ওই পরিস্থিতিতে ওরকম শট খেলা কতটা যৌক্তিক, সেই প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। মুশফিক নিজে তার ভুল বুঝতে পেরেছেন কিনা, সেই প্রশ্নও আসতে পারে! কারণ ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই ধরনের ‘অহেতুক’ শট খেলে উইকেট বিলিয়ে আসার ঘটনা তো তার ক্যারিয়ারে কম নেই!